যেমন ভাত-ডাল, সে রকম শোভনদা আর বৈশাখীদি: দিলীপ
নিউজ ডেস্ক: খুব সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভাত-ডালের সঙ্গে তুলনা করলেন শোভন- বৈশাখীকে। ঘটনাটি ঘোটেছে একটি বিশেষ কারণে। সেই কারণটি হলো সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যাযএর় নাম না থাকা। আর তাই তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানান। দিলীপ ঘোষ বৈশাখীর রোষের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমরা জানি, যেমন ভাত-ডাল, সে রকম শোভনদা আর বৈশাখীদি। আলাদা করে বলার কী আছে!’’ মঙ্গলবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর লেনে সম্বর্ধনা দেবে রাজ্য বিজেপি৷ তবে শোভনের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বৈশাখীকেও সম্বধর্না দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে দলের মধ্যেই বেশ সংশয় ছিল৷ তা প্রকাশ পেল সম্বধর্না অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে৷
যে আমন্ত্রণপত্রটি সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছেছিল তাতে রাজ্য বিজেপি সম্বর্ধনার তালিকায় কোথাও বৈশাখীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেনি৷ আর সেই নামহীন আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে বৈশাখী দেবী সরব হন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এক তরফ নালিশ জানানোর পরে যথারীতি চিঠির দ্বিতীয় প্রচ্ছদে বৈশাখীর নাম লেখানো হয়৷ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের উপর রীতিমত চরম পর্যায়ে ক্ষেপে গিয়েছেন শোভন-বান্ধবী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমার কাছে নিঃসন্দেহে আনন্দের। কিন্তু আমি দীর্ঘদিন ওয়েবকুপার জেনারেল সেক্রেটারি থাকাকলীন একটা জিনিস অনুভব করেছি, সেটা হল আমায় কেউ কখনও অসম্মান করেননি।
কখনও নিজেকে আনওয়ান্টেড মনে হয়নি। ধাক্কা লেগেছে এ ধরনের আমন্ত্রণপত্রে’’। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈশাখী আরো বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি শোভনবাবুকে জানাই। ওঁরও খারাপ লেগেছে। উনি বিষয়টি তদারকি করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাই বিষয়টি। এরপরই মনে হয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। পরে দেখলাম সেকেন্ড প্যারতে আমার নাম রয়েছে৷ আমার মনে হয়, এটা জুতো মেরে গরু দান করেছে৷ তবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জয়প্রকাশ দা’ (মজুমদার) বলেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হয়, সে ক্ষেত্রে ক্ষমা করা আমার কর্তব্য। ইচ্ছাকৃত হলে, এটার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না’’।