কোলাঘাটে গনধর্ষনের শিকার নাবালিকা ছাত্রী

0 0
Read Time:4 Minute, 9 Second

কোলাঘাটঃ-গনধর্ষনের শিকার এক নাবালিকা ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানা এলাকায়। অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কোলাঘাট থানার বাগডিহা গ্রামের ফাঁকা মাঠের ধারে চার যুবক মিলে পৈশাচিক ভাবে গনধর্ষন করে বলে অভিযোগ। জানা গেছে পাঁশকুড়া থানার চাপদা গ্রামের শুভম তুং এর সঙ্গে কোলাঘাট থানা এলাকার যোগীবেড় গ্রামের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বছর তিনেকের একই স্কুল থেকেই ভালবাসা ছিলো। পরীক্ষায় নবম শ্রেনী থেকে ছাত্রীটি পাশ করলেও শুভম পাশ করেনি।পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু কারনে স্কুল থেকে টিশিও দিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ মাস ছয়েক আগে। শুভম স্কুল ছাড়লেও ভালবাসার চ্ছেদ ঘটেনি দুজনের মধ্যে। দুজনের মধ্যে এই সম্পর্কটা দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানিও হয়। মাঝেমধ্যে টিউশনি পড়ার নাম করেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরা ঘুরি চলত বলে ছাত্রীটির প্রতিবেশিদের অভিযোগ। গত শনিবার সন্ধ্যায় এমনি করেই টিউশনি পড়তে যাওয়ার নাম করেই সন্ধ্যা নাগাদ ঘর থেকে বের হয়। এরপর নির্জন এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে স্থানীয় বাগডিহা গ্রামের ফাঁকা মাঠের ধারে চলে আসে দুই প্রেমিক প্রেমিকা। এরপর অভিযোগ চার যুবক এসে পৈশাচিক ভাবে ঐ ছাত্রীকে গনধর্ষন করে লাগাতার। এরপর শুভমই অসুস্থ্য ঐ ছাত্রীটিকে বাড়ির কিছুটা দূরে ছেড়ে চলে যায়। এরপর অসুস্থ্য ঐ ছাত্রিটি ঘটনার বিবরন পরিবারকে জানায়।এরপর রাতেই ঘাস মারার বিষ খায় আত্মহননের জন্য। এরপর গভীর রাতেই মেছেদার একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে ভর্তি করে পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়ভাবে টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শুভমের বাড়ির লোকজন। এই ঘটনার ছাত্রীটির পরিবারের সন্দেহের তীর শুভমের দিকে।তাদের অভিযোগ শুভমের যোগসাযগেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওদেরই বন্ধুরা। এই ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার ও প্রতি বেশীরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও পরিবারের লোকজন সোমবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এই মুহুর্তে ছাত্রীটি বিষ খাওয়ার কারনে রীতিমতো আশংকাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই গনধর্ষনের ঘটনায় এলাকায়,রীতি মতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে ঐ বাকি চারজন যারা এই গনধর্ষনের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের পূর্ব পরিচিত ছিলো বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দুজনের বাড়ি কোলাঘাট থানার পুলশিটা গ্রামে ও একজনের বাড়ি বাগডিহা গ্রামে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ চাপদা গ্রামে শুভমের বাড়ি গেলেও বাড়ির লোকজন রাত থেকেই বেপাত্তা। পাশাপাশি বাকি চার জনকে ধরতে কোলাঘাট থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!