শাঁখাই-কাটোয়ার মধ্যে চালু হোক লঞ্চ পরিষেবা ও উন্নত জেটিঘাট, চাইছে কেতুগ্রামের মানুষ
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়াঃ- সেই সুদূর প্রাচীনকালে ভারতে ভ্রমণে এসে মেগাস্থিনিস পৌঁছেছিলেন কাটোয়ার তীরে, তিনি কাটোয়া ‘কটদুপা’ বলে তার ইন্ডিকা গ্রন্থে উল্লেখও করেন। অনেক পরে গ্রিক ঐতিহাসিকদের গ্রন্থ থেকে এই তথ্য খুঁজে পাই আমরা। এখানে কাটোয়া তীর মানেই গঙ্গা আর অজয়ের মিলনস্থল, যে মিলনস্থলে ছিল কেশব ভারতীর আশ্রম, যেখানে গঙ্গাতীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব, কেশবভারতীর কাছে তিনি এই মিলনস্থলেই দীক্ষালাভ করেন। বারবার আমার গঙ্গা-অজয়ের মিলনস্থল বলা উদ্দেশ্য হল এই দুই নদীর মিলনস্থলের একদিকে কাটোয়া শহর, অন্যদিকে শাঁখাই ঘাট। সেই শাঁখাই ঘাট, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ একপার থেকে অন্যপারে যান, যেখানে প্রতিদিন বীরভূমের গঙ্গাস্নান-যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। কেতুগ্রাম-নদিয়া-বীরভূমের মানুষের কাটোয়ার সাথে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাট এটি। সম্প্রতি কাটোয়া ও বল্লভপাড়ার ঘাটের মধ্যে লঞ্চ পরিষেবা শুরু হবার কথা হলেও শাঁখাই ঘাট বঞ্চিতই থেকে বলে মনে করছে স্থানীয় মানুষরা। এখানে জেটি নেই, ভেসেল বা লঞ্চ পরিষেবার কথাও তোলা হয় কখনও, তাই স্থানীয় মানুষের দাবি শাঁখাই-কাটোয়া লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা শুরু হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।