দিলীপ ও অজুর্নের হামলার প্রতিবাদের ঢেউ বালুরঘাটে, অবস্থান বিক্ষোভে নামল জেলা বিজেপি
বালুরঘাট, গোপাল, সূত্রধর, ২ সেপ্টেম্বর: বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাংসদ অর্জুন সিং -এর ওপর হামলার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে নামল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বালুরঘাট পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তারা।
অবস্থান-বিক্ষোভ এর নেতৃত্বে ছিলেন বালুরঘাটের সংসদ সুকান্ত মজুমদার, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সম্পাদক বাপি সরকার সহ বিভিন্ন জেলা বিজেপি নেতৃবৃন্দ। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কে ঘিরে পুলিশ সুপার অফিসের সামনে বিশাল পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৩০ আগস্ট সকালে বিজেপির ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি চলছিল লেকটাউনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই কর্মসূচি ঘিরেই তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। আর সেই ঘটনা ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় শহরের বুকে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রায় আড়াইশোরও বেশি লোকজন নিয়ে দিলীপ ঘোষের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। ঘটনায় পদ্মশিবিরের দুই কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির পার্টি অফিস তৃণমূলের হাত থেকে দখলমুক্ত করতে যান সংসদ সদস্য অর্জুন সিং। সেখানেই তাঁর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। ঘটনায় মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়েছেন সংসদ অর্জুন সিং। বর্তমানে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতে যান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ একাধিক রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বাহুবলি এই নেতার উপর হামলার প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে জেলায় জেলায়।
সেই প্রতিবাদের জের এদিন বালুরঘাটে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তারা। অবস্থান-বিক্ষোভকে ঘিরে পুলিশ সুপার অফিসের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, “যেখানে সাংসদ ও রাজ্য সভাপতির ওপর হামলা হতে পারে, তাহলে একজন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে হবে? পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে। কোন নিরাপত্তা নেই, যে কোন সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। সমস্ত পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত হচ্ছে মন্ত্রী ও হাফ মন্ত্রীদের। যেমন আমাদের এখানে যারা মন্ত্রীও না, যারা হেরে গিয়ে ভূত হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত পুলিশ। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, বিরোধীদের মর্যাদা নেই। গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমাদের আজ অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি।”