জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের গোলমাল কোচবিহার খাগড়াবাড়ির মহিষবাথান এলাকায়
মনিরুল হক, কোচবিহার: জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে কোচবিহার ২ নং ব্লকের খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষবাথান এলাকায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জমি রক্ষা কমিটির মোট ৬ জন আহত অবস্থায় হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গোলমাল চলছে। গতকাল গভীররাতে হঠাৎই দেবাশিষ গুন নামে স্থানীয় এক যুবককে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে এলাকার প্রভাবশালী স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল সরকার ও তার দলবল। সেইসময় ওই যুবক ও তার বাড়ীর লোকজন চেঁচামেচি করলে পাড়ার লোকেরা সজাগ হয়ে যায়। তাঁরা সেখান থেকে ওই যুবককে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে স্থানীয় অপর এক যুবক শুভাশিস চৌধুরী তাদের বাধা দেয়। তখন তাঁরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার পাশাপাশি আকাশ পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তিকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠছে ।
ঘটনায় দেবাশিষ গুন ওরফে টিটু জানান, ওই তৃণমূল নেতা ও তার দলবল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের গ্রামের কিছু লোকজনের জমি তাঁরা জোর করে আটকে রেখেছে আর সেই জমি জমির মালিকরা ফেরত নেওয়ার তাদের ক্ষোভ। তাঁরা শুধু ওই জমি রক্ষা কমিটির সদস্যদেরই নয়, সাধারন গ্রামবাসীদের উপরেও নামিয়ে নিয়ে আসছে অত্যাচার। আমরা আজ আতঙ্কে রয়েছি।
অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী সুবল সরকার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এলাকায় আমাদের প্রভাবকে ক্ষুন্ন করতে কিছু বহিরাগত জমি নিয়ে অভিযোগ আনেন। এদের তাণ্ডবে আমরা ঘর থেকে বেরোতে পাচ্ছি না। ঘটনা যাই হোক দুপক্ষের চরম বিবাদে গোলমাল বাঁধে সোমবার সকালে। অভিযোগ ও প্লাটা অভিযোগে উত্তপ্ত এলাকা।
জমি রক্ষা কমিটির পক্ষে নন্দন চক্রবর্তী বলেন, এদিন বাজারে যাবার সময় তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনিউ অভিযোগ করে বলেন, জমি মাফিয়াদের ভয়ে পাড়ার লোকেরা ঘর ছেড়ে বেরোতে পাচ্ছে না। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সুবল সরকারের ভাই সজল সরকার। তিনি বলেন কখনই আমাদের পক্ষ থেকে আক্রমণ করা হয়নি বরং আমরাই আক্রান্ত