শিক্ষক ছেলের অত্যাচারে টানা ৫মাস ঘড়ছাড়া বৃদ্ধ দম্পতি, দিদিকে বলোর সাহায্য নিয়ে ঘরে ফিরলেন বাবা-মা

0 0
Read Time:3 Minute, 10 Second

নিউজডেস্ক- দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ছেলেকে পড়াশুনা শিখিয়ে বড় করা বাবা-মা হিসাবে কোন কিছুই বাকি রাখেনি। কিন্তু ছেলে যে “শিক্ষক”ই হয়েছে, “মানুষ” হয়নি বার্ধক্যের অন্তিম সময়ে এসে সেটাই বুঝতে পারলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বিগত চার বছর ধরে ছেলে-বৌমার অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছিলো। মানসিকের পাশাপাশি বাবা-মাকে শারিরীক অত্যাচার করা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো চুঁচুড়া বুনোকালিতলার ঘোষ বাড়িতে। সখের তিনতলা সেই বাড়িটি অনেক কষ্টে তৈরী করেছিলেন প্রাক্তন ডানলপ কারখানার কর্মী অজিত ঘোষ(৮৪)। সেই বাড়িতে অজিতবাবু তাঁর স্ত্রী শ্যামলী ঘোষ ও ছেলে জয়ন্ত ঘোষের(৪৮) পরিবার নিয়ে থাকতেন। নিজের একমাত্র ছেলের প্রতি অগাধ ভরসা ছিলো বাবা-মায়ের। অভিযোগ বৃদ্ধ বাবা মায়ের সেই স্নেহকে কাজে লাগিয়েই অসাধারন প্রতারনা করে জয়ন্ত তাঁর-স্ত্রী ও কন্যার নামে বাড়ির কাগজপত্র করে নেন। বিগত চারবছর আগের সেই ঘটনার পর থেকেই চরম অত্যাচার শুরু হয় জয়ন্তবাবু ও শ্যামলী দেবীর উপর। নিপাট সাদামাটা মানুষ দু’জন নিজের ছেলের অত্যাচার মুখবুজে সহ্য করে গেছেন। গত মার্চ মাসে বিভৎসভাবে মারধর করা হয় এই দুজনকে। সেদিনই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বৃদ্ধ দম্পতিকে।খবর যায় তাঁদের দুই মেয়ে চুঁচুড়ার বাসিন্দা ঝর্ণা সরখেল ও বেহালার বাসিন্দা রত্না ধরের কাছে।মেয়ে জামাইদের সৌজন্যেই চিকিৎসা হয় তাঁদের।সেই থেকে বিগত ৫ মাস ধরে মেয়েদের কাছেই থাকতেন তাঁরা।মেয়েরাই জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে দ্বারস্থ হন মানবাধিকার কমিশনের।সব শেষে মাথায় আসে ৯১৩৭০৯১৩৭০ অর্থাৎ দিদিকে বলো।তাঁর পরই নড়ে চড়ে বসলো জেলা প্রশাসন।আজ চুঁচুড়া থানার পুলিশরা ওই দম্পতিকে পৌছে দিলেন বুনো কালী তলায় নিজের বাড়িতে।নিজেদের বাড়ি পুনরায় ফিরে পেয়ে ভাষা হারিয়েছেন অজিতবাবু।তবে বৃদ্ধা শ্যামলী দেবী বলেন নিজের পেটের ছেলের চরম অত্যাচার সহ্য করেছি।তবে আর ভয় পাবোনা। বাবা মা নিজেদের ঘর ফিরে পাওয়ায় খুশী মেয়েরাও।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!