সাঁতারু হবার স্বপ্ন নিয়ে শ্লীলতাহানির স্বীকার পঞ্চদশী তরুণী
নিউজডেস্ক- রিষড়া নিবাসী শঙ্কর দাসের একমাত্র কন্যা (নাম উহ্য রইলো) সাঁতারে বাংলাকে ২০১৬ সালে দুটো সোনা ও একটা ব্রোঞ্জ উপহার দেয়।মেয়ের বড়োই স্বপ্ন ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক পদক আনবে।বাড়ির শুধু বাবা নয় সঙ্গে মা অনিতা দাস ও দাদু ৮৫ বছরের বৃদ্ধ নির্মলেন্দু দাসের স্বপ্ন তাদের বাড়ির মেয়ে মানে সাঁতারু।মেয়ের প্রশিক্ষন শুরু বালি গ্রামাঞ্চল সুইমিং সেন্টারে,কোচ সুরজিত গাঙ্গুলী,মেয়ের সেরা ইভেন্ট ব্রেস্ট স্ট্রোকার।কোচকে শুধু মেয়ে নয় পরিবারের লোকেরাও ভগবানের আসনে বসিয়েছিলেন।তারই পরামর্শে মেয়েকে ২০১৯ সালেই নিজ রাজ্য ছেড়ে গোয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবার জন্যে সায় দেয় গোটা পরিবার,এবং তাদের কাছ থেকে কোচ আনওফিসিয়ালি ৫০০০ টাকাও নেন।পিতার সামথ্য সেরোকম না থাকায় বাবা যেহেতু গাড়ি চালাতে জানতেন,গোয়াতে গিয়েও উপার্জনের জন্যে সেই জীবিকা বেছে নেন।কিন্তু তিনি লক্ষ্য করতেন তার আদরের কন্যা একান্তেই কাঁদছে,পরে জিজ্ঞেস করায় সব খোলসা করে বলেন যে তার সাথে কিভাবে বারংবার সেই কোচ শ্লীলতাহানি করেছেন।শুনে অভিভাবকরা স্তম্ভিত।প্রশ্নের উত্তরে বললেন আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এর মুখোশ খুলতে চাই,যেনো জেলের ঘানি টানেন সেই ব্যক্তি।আবেগতাড়িত গলায় বললেন আমার মেয়েকে আর ভিনরাজ্যে পাঠাবো না,দয়া করে যদি ওয়েস্ট বেঙ্গল সুইমিং ফেডারেশন তার কন্যার প্রতিভার সুবিচার করেন চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন।