রতুয়ায় বিদ্যুতের পরিবাহিতার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
রতুয়া, ২৫, ফেব্রুয়ারি : রতুয়া ভালুকা রাজ্য সড়ক হয়ে দিনে পন্যবাহী লড়ি থেকে শুরু করে অন্যান্য যান চলাচল করে কয়েক হাজার। আর সেই রাজ্য সড়কের উপরে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে বিদ্যুতের পরিবাহি তার। যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় সড়ক দুর্ঘটনা।কিন্তু বালাই নেই বিদ্যুৎ দপ্তরের।
রতুয়া রুকুন্দিপুরের স্থানীয় বাসিন্দা অচিন্ত সরকার অভিযোগ করে বলেন রাজ্য সড়কে বিদ্যুতের তার খুবই বিপদজনক ভাবে ঝুলে রয়েছে।প্রায় মাসখানেক ধরে রতুয়া স্টেডিয়ামের সামনে বিদ্যুতের তার মাটিতে ঝুলে পড়ে রয়েছে,যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় সর দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকার ফলে শর্ট সার্কিট হয়ে পাট বোঝাই লরিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে বহুবার বিদ্যুৎ দপ্তরে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।পাশাপাশি একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ গোস্বামী অমিতাভ চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম তারা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের অপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন রাজ্য সড়কের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরে বহুবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকার ফলে বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে।এই রাস্তা হয়ে দিনে হাজারও ওভারলোড লরি যাতায়াত করে, আর ওইসব লরিতে তার লেগে ছিঁড়ে পড়ে যায়।আর এইসব দেখেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই বিদ্যুৎ দপ্তরের।বিদ্যুৎ দপ্তরে জানাতে গেলে বিদ্যুৎ কর্মীরা বিভিন্ন রকমের অজুহাত দেখিয়ে নিজের দায় সেরে ফেলেন।পাশাপাশি তারা আরও অভিযোগ করে বলেন ট্রান্সফরমারে কোন ত্রুটি হলে ফোন করতে হয় বহরমপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে, সেখানে জানানোর পর দেওয়া হয় একটি ডকেট নাম্বার,এরপর অপেক্ষা করতে হয় দুই থেকে তিন দিন।এর পর তিনি দিন পর স্থানীয় সামসি বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে খোঁজ খবর নেওয়া হয়।ততক্ষণে আমরা নিজেদের উদ্যোগেই টাকার বিনিময়ে কোন স্থানীয় মেকানিককে দিয়ে বিদ্যুৎ সারাতে হয়।অতি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি স্থানীয়দের।
এই বিষয়ে চাচোল বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশনাল ম্যানেজার হরেন্দ্রনাথ রামকে টেলিফোনে ধরা হলে তিনি জানান বিষয়টি তার জানা নেই, খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন।