গুটি গুটি পায়ে একশ দিনে ছুঁল ‘ও বন্ধু আমার’
নিউজ ডেস্ক : গুটি গুটি পায়ে একশ দিনে পড়ল। সেই উপলক্ষে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাকসেস সেলিব্রেশন হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন বাংলা ছবি ‘ও বন্ধু আমার’ কথাই বলছি। গতবছর ১ লা নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল সঞ্জয় দাস পরিচালিত ছবিটি।
ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে তৈরি ‘ও বন্ধু আমার’ ইতিমধ্যেই দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন নবাগত মিত, ঋতিকা সেন, মৌসুমী সাহা, খরাজ মুখার্জি, অরুন ব্যানার্জি, অনুরাধা রায়, সুপ্রিয় দত্ত, বিশ্বজিত চক্রবর্তী সহ আরও বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রী।
গল্পের নায়কের নাম আদি এবং নায়িকা রুহী। ছবির শুরুতেই দর্শকের মন নাড়িয়ে দেয়। গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয় আদি ও রুহী। মাথায় চোট পেয়ে স্মৃতি হারায় রুহী। ভুলে যায় তার ভালোবাসা আদিকে। কিন্তু আদির খাদহীন ভালোবাসা আর সেবায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে রুহী। মনে পড়ে যায় তার মা-বাবাকে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে মনে পড়ে না আদিকে। আর এখানেই গল্প নতুন দিকে মোড় নেয়। বাড়ির লোকজন আদির সঙ্গে রুহীর বিয়ে স্থির করে। অবশ্য এই বিয়ে মানতে নারাজ রুহী। তাই বাড়ি থেকে সোজা পালায় সে। কিছুদিন পর ফিরে বধূর বেশে। সঙ্গে সদ্য বিবাহিত জীবনসঙ্গী। যদিও তার নতুন জীবন মেনে নিল না মা বাবা। এদিকে আদি-রুহীর হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মনে করাতে সাহায্য করে আদির ফটোগ্রাফার বন্ধু কেষ্ট। আর এতে সফলতাও আসে। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রুহীর স্বামী। ধরে ফেলে আদি ও রুহীকে। এরপর সে জানায় যে, প্রথম থেকে রুহীর মাথায় গুন্ডাদের আঘাত করা থেকে শুরু রুহীকে বিয়ে সমস্তটাই ছিল তার প্ল্যান মাফিক। কথার মাঝেই তার স্বামীর গুন্ডারা আবার মারতে যায় তাদের। রুহীকে বাঁচাতে আদি গুলি করে তার স্বামীকে। কিন্তু সেও ছাড়ে না আদিকে। পিঠে ছুড়ি বসায় আদির। কিন্তু রুহী আদিকে ফিরে পেল শেষ সময়ে। একা হয়ে গেল রুহী।