বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন
বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন, এরপর দেহ লোপাট করতে সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ফাঁসির সাজা শ্রীরামপুর আদালতে। ঘটনা ২০০৮ সালের উত্তরপাড়া থানা এলাকার। এই এলাকাতেই বাস নাটবল্টু ব্যবসায়ী শৈলেন্দ্র কুমার শর্মার। কারখানা চালাতে না পেরে লিজ দেন চন্ডীতলার তপন বাগ নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু সময় মত লিজের টাকা না পেয়ে তাগাদা করতে শুরু করেন শৈলেন্দ্র বাবু। মাঝে মধ্যে বাড়ীতে ডেকে কিছু টাকা দেওয়া হত শৈলেন্দ্র বাবুকে। এই রকম ই একদিন টাকা দেওয়ার অছিলায় চন্ডীতলায় নিজের বাড়ীতে শৈলেন্দ্র কে ডেকে পাঠায় তপন। এরপর তাকে কুপিয়ে খুন করা হয় সেখানেই। ঘটনায় তাকে সাহায্য করে তার বাবা ও মা নিরঞ্জন বাগ ও সন্ধা বাগ। ১২.০৪.২০০৮ তারিখে শৈলেন্দ্র বাড়ী না ফেরায় খোঁজ খবর শুরু করেন তার স্ত্রী ইন্দু শর্মা। উতরপাড়া থানায় এবিষয়ে অভিযোগ ও দায়ের করেন তিনি। ঘটনার কয়েকদিন পর চন্ডীতলায় তপন বাগের বাড়ীর পাশে একজনের বাড়ীর সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা শৈলেন্দ্র র দেহ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় তপন কে। তাকে জিঙ্গাসাবাদ করে ধনেখালি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শৈলেন্দ্র র মোটরবাইক ও জিনিসপত্র। ঘটনার তদন্তে নামে সি আই ডি। ঘটনার প্রায় বারো বছর পর শ্রীরামপুর আদালতে আজ অভিযুক্ত তপন বাগকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক মহানন্দ দাস। একই সাথে অপর দুই আসামী তপনের বাবা মা, নিরঞ্জন বাগ ও সন্ধা বাগকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেন বিচারক।