স্কুল ভবন ,খেলার মাঠ,শৌচাগার দখলে ঠিকাদার সংস্থার ,বারান্দায় ক্লাস পড়ুয়াদের ।
মালদা ♦ সরকারি নিয়ম কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্কুল ভবন ঠিকাদার সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা মানিকচক ব্লকের গ্রাম হিরানন্দপুর পঞ্চায়েতের ছবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ স্কুলের ক্লাস রুম, শৌচাগার এবং খেলার মাঠ একটা অংশ ঘিরে রেখেছে গঙ্গা ভাঙ্গন রোধের কাজ করতে আসা ঠিকাদার সংস্থার লোকজনেরা, ফলে পঠন পাঠনে ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। বেশ কিছু দিন ধরে স্কুলের বারান্দায় ক্লাস চলছে শিক্ষকেরা । স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ১৯৬ জন ,শিক্ষক ২ জন ও পার্শ্ব শিক্ষক ১ জন । এই ঘটনার পর বেশির ভাগ পড়ুয়ার স্কুল মুখি হয়ছে না ।
বেশকিছু অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষ পুরোন মন্ডল,জতা মাহতো,গোপাল রবিদাস সহ বিভিন্ন মানুষের অভিযোগ সরকারি নিয়ম কানুন না মেনে এইভাবে স্কুলের চত্বরের একটা অংশ স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপন ভাবে চুক্তি করে কিছু টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে । ক্লাস চলছে বারান্দায় ,খেলার মাঠ ও শৌচাগারও তাদের দখলে রয়েছে । ছেলে মেয়দের শৌচ করতে স্কুলের বাইরে যেতে হয়ছে । স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। আমরা চাই স্কুল কে দখল করা হক এবং পঠনপাঠন সঠিক ভাবে করা হক ।
পড়ুয়াদের অভিযোগ স্কুলের ক্লাস রুম থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে স্কুলে বারান্দায় ক্লাস করতে হচ্ছে। কারণ কিছু লোকজন স্কুলের একটা অংশ দখল করে রেখেছে । এমনকি শৌচাগার তাদের দখলে রয়েছে ফলে মাঠেই রাস্তায় শৌচ করতে যেতে হয়চ্ছে। পড়াশোনা করতে তো খুব অসুবিধা হচ্ছে ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুলের উজ্জল মন্ডল তিনি জানিয়েছে কোনরকম সরকারি লিখিত নির্দেশ ছাড়াই এই ঠিকাদার সংস্থার লোকজনেরা স্কুলের একটা অংশ দখল করে রেখেছে । এলাকার কিছু দাপটে লোকজন মদত রয়েছে এর পিছনে ।
ঘটনা সম্পর্কে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল জানায় বিষয়টি আমি সংবাদমাধ্যমে কাছ থেকে শুনলাম স্কুল কর্তৃপক্ষ কিভাবে এদের অনুমতি দিয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে এটা অবৈধ ভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এইভাবে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন দখল করে রেখেছে । তা আমরা মেনে নিতে পারছিনা আমি বিডিও এবং জেলা প্রশাসন জানাব খুব তাড়াতাড়ি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে মানিকচক ব্লক বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত ফোনে জানায় ঘটনার সম্পর্কে আমি স্কুল সার্কেল ইনস্পেক্টর কাছ থেকে খবর নেওয়া হবে । সরকারি ভবন ব্যবহার করার আগে একটি অনুমতি নেওয়া হয় যদি সেই অনুমতি না নিয়ে থাকে তাহলে এটা অবৈধ । বিষয়টি আমরা তদন্ত করে খতিয়ে দেখছি।