চতুর্থ দফার লকডাউনের নয়া নির্দেশিকায় ঠিক কি কি বলা হয়েছে জেনে নিন
নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। আর তারই ঘোষণা হলো তৃতীয় দফার লকডাউনের শেষ দিন অর্থাৎ রবিবার। চতুর্থ দফা লকডাউনের জন্য জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। নির্দেশিকা অনুযায়ী বলা হয়েছে, আন্তঃ রাজ্য যাত্রীবাহী গাড়ি, বাস চলাচল অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিমান বা মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে প্রত্যেকটি রাজ্যকে নিজেদের পরিস্থিতি বিচার করে রেড গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে ভাগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও আরও জানানো হয়েছে যে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোরাঁ পুরোপুরি বন্ধ থাকছে চতুর্থ দফার লকডাউনে কিন্তু রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে খোলা থাকবে হোম ডেলিভারির জন্য। এছাড়া ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে দেশের সমস্ত শপিংমল, সিনেমা, জিম সেন্টার, সুইমিংপুল, থিয়েটার, অডিটোরিয়াম। ক্রীড়াঙ্গন ও স্টেডিয়াম গুলি খোলার নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো দর্শক ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও চতুর্থ দফার লকডাউনে সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জমায়েত পুরোপুরিভাবে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। ধর্ম স্থান গুলি জনগণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে, এমনকি রাস্তায় থুথু ফেললে জরিমানা করা হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সর্বাধিক ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেনা। শেষকৃত্যের কাজ হলে সর্বাধিক ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
এছাড়াও দোকানগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রত্যেক গ্রাহকের মধ্যে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ি থেকে যেন কেউ বেরোতে পারবে না। যদিও এই নির্দেশ তৃতীয় দফার লকডাউনে জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সঙ্গে নতুন একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রয়োজন হলে ১৪৪ ধারা এবং কারফিউ জারি করতে পারে রাজ্য প্রশাসন। এর পাশাপাশি ৬৫ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স এবং ১০ বছরের নিচের শিশুদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন বাড়ির বাইরের না বের হয়।