আল্লাডি গ্রামে অনায়াসে চলছে গাছ কাটা
সালানপুর:-
আল্লাডি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি বহু পুরাতন একটি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে,এই গাছের বয়স দেড়শ বছরের অধিক।তবে এই গাছ কাটাকে ঘিরে আল্লাডি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল মন্ডলের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা গাছ কাটাকে আটকে দেয়।
এবিষয়ে উজ্জ্বল মন্ডল জানান এই বাগানের আম গাছ গুলো বহু পুরাতন থাকায় এই গাছ কাটতে বাধা দেওয়া হয়।
তবে এই প্রসঙ্গে জমির মালিক জানাই যে,তার নাকি গাছ কাটার অনুমতি পত্র রয়েছে তাই এই গাছ কাটছিল। তবে এত বহু পুরাতন গাছ কাটার অনুমতি কি ভাবে দেওয়া হল যেখানে প্রশাসনের পরিবেশ দিবসে গাছ লাগানোর কথা বলা হচ্ছে,আর এক দিকে গাছ কাটা।
এবিষয়ে বনদফতরের অফিসার এর দিকেও আঙ্গুল উঠিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ ।
রূপনারায়ণপুর রেঞ্জার অফিসার সৌরিশ সাধু জানান আল্লাডি পঞ্চায়েতের পাশেই একটি আম বাগানে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে খবর পান।তিনি জানান যে ব্যক্তি এই গাছ কাটছিল তার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তবে আমাদের কাছে ছয়টি গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু দুটো অনুমতি দেওয়া হয় তাও
আল্লাডি পাঞ্চয়েতের নির্দেশ অনুসারে,বিট অফিসার গিয়ে দেখেন তবেই এই অনুমতি দেওয়া হয় ।
তবে গ্রামবাসীদের বাধা দেওয়ার ফলে একটি গাছ কাটা হলেও আর গাছ কাটতে দেওয়া হয়নি বলে জানান ।তাছাড়া আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম মিয়া ওই গাছ মালিক বিপদ তারণ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তিনি নাকি বাড়ির গাছ দেখিয়ে অনুমতি পত্র নিয়েছিল, কিন্তু পরে জানতে পারি যে বাগানের বহু পুরাতন গাছ কাটছিল তাই এই গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়া হয়।
তবে এবিষয়ে জমির মালিক বিপদতারন পাল বলেন আমি গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছিলাম কিন্তু উজ্জ্বল মন্ডল নামে এক ব্যাক্তি যিনি একমাত্র এই গাছ কাটায় বাধা দেন,এর কারণ তিনি আমার কাছে টাকার দাবি করেন তা আমি দিতে চাইনি বলেই বাধা দেন তবে তার এক টাকা নেওয়ার ব্যাপার টা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান উজ্জ্বল মন্ডল তিনি বলেন আমি যদি টাকায় নিতাম তাহলে আগে যখন প্রধান ছিলাম তখনই নিতাম কিন্তু আমি তা নিতে চাইনি। তবে বার বার আল্লাডি পাঞ্চয়েতের মধ্যে এভাবে গাছ কাটার অভিযোগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে ।মানুষকে সচেতন করা হলেও মানুষের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।নিজেদের টাকার জোরে অর্থের লোভে পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে পরিবেশে প্রেমীরা মনে করছেন।