৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার মাহেশের রথের রশিতে পড়লো না টান , গড়াল না রথের চাকা।

0 0
Read Time:2 Minute, 51 Second

সুমন করাতি ; ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার মাহেশের রথের রশিতে পড়লো না টান ,গড়াল না রথের চাকা। জগন্নাথ মন্দিরের পাশেই জি,টি,রোডের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলো তিনতলা রথ। করোনা আবহে ভক্ত সমাগমে পরিষ্কার না করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কেবলমাত্র ২৫ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে মন্দিরের পক্ষ থেকে । সকল থেকে ভক্তদের আটকানো যায়নি। মুখে মাস্ক পরে, সানিটাইজারে হাত ধুয়ে জগন্নাথ দেব কে প্রণাম সারছেন। মন্দিরেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মাসির বাড়ি।আগামী সাতদিন সেখানেই তারা পূজিত হবেন ।এবং উল্টো রথের দিন ফের তাঁরা মন্দির মূল মন্দিরে ফিরে আসবেন। আজ সকাল থেকে তিন বিগ্রহকে গর্ভগৃহ থেকে এনে মন্দিরের চাতালে এনে রাখা হয়েছে। সেখানে চলছে পূজা-অর্চনা। ভক্তগণ আসছেন এসে তারা মহাপ্রভু কে পুজো দিচ্ছেন এবং তাদের মনষ্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছেন।

জগন্নাথ-দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানালেন ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম রথ যাত্রার দিন প্রভু মাসির বাড়ি যাচ্ছেন না। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ আমরা সবকিছু রীতিনীতি নিয়মের মধ্য মধ্যেই মন্দিরের মধ্যেই আমরা সমস্ত সমস্ত কিছু নিয়ম আচার পালন করছি । অস্থায়ী মাসির বাড়ি করে সেখানে নিয়ে হবে প্রভু জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা কে এবং গত আগামী সাত দিন সেখানে তাদের পূজা-অর্চনা করা হবে । এর সঙ্গে সঙ্গে এখানে আমাদের মন্দির যে নারায়ণ শিলা আছেন তাদের নিয়ে যাওয়া হবে মূল মাসির বাড়িতে । বেলা তিনটের পর তারা মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। যেভাবে মরণব্যাধি সারাবিশ্ব হানা দিয়েছে তারি পরিপেক্ষিতে এবং প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ মেনে আমাদের এবারের রথযাত্রা করতে হচ্ছে। এবং আমরা আশা করব আগামী বছর মহাপ্রভু সমস্ত কিছু বাধা কাটিয়ে রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এই প্রার্থনা সমস্ত ভক্তকুলের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!