আদিবাশি অধ্যুষিত গ্রামে কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে শিশুসহ প্রান্তিক মানুষের অাহার ও মাস্ক বিতরণ
প্রীতম ভট্টাচার্য,নদীয়া : করোনা অাবহে লকডাউন জারি ও আমফান ঝড়ে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত । অনেক মানুষ পেটের তাগিদে পেশা পরিবর্তন করেছেন । সেই সমস্ত পরিবারও শিশুদের সহযোগীতায় এগিয়ে এল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান ও কৃষ্ণনগর ইচ্ছে, এছাড়াও তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন কিছু স্বহৃদয় ব্যক্তি ।
রবিবার নদীয়া জেলার দোগাছী গ্রাম পঞ্চায়েতের অাদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ভূতপাড়ায় প্রায় ৩০০ জন শিশু ও ১০০ জন প্রান্তিক মানুষের কমিউনিটি কিচেন এর মাধ্যমে মাংস ভাত তুলে দেওয়া হয় । সকালে এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে সদস্যরা তুলে দেন বিস্কুট । এছাড়াও করোনা সচেতনতা ও ২৫০টি মাস্ক বিলি করা হয় শিশু গ্রামের মানুষের মধ্যে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন পাপিয়া সরদার,রনজিত সরদার , দেবশ্রী সাহা, ডোনা মন্ডল মন্ডল , সুস্মিতা ঘোষ , স্বস্তিকা দাস সহ অন্যান্যরা ।
উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর আনন্দধারার সম্পাদক রাজু পাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম বিপ্লব সাহা জানান ” ছোট ছোট শিশুদের পরিবারের প্রধানের হাতে তেমন অর্থ নেই তাই সবার সহযোগীতায় অাজ আমরা মাংস ভাতের আয়োজন করেছি ।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে অরিন্দম দেব ও ভাস্বতী সিংহরায়, সুজয় ঘোষ জানান “লক ডাউনের সময়কাল থেকেই মানুষ খুব সমস্যায় অাছেন। ছোট ছোট বাচ্চা ও প্রান্তিক মানুষের জন্য এই উদ্যোগ । গত রবিবার অামরা লক্ষ্য করেছিলাম গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরছেন না । অাজ আমরা করোনা বিষয়ে সচেতন করলাম ও ২৫০টি মাস্ক বিতরণ করলাম সাধারণ মানুষ ও বাচ্চাদের মধ্যে । অামাদের কর্মসূচি চলবে ।”
এলাকার বাসিন্দা পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত সরদার জানান ” বাচ্চাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য ওনারা মাংস ভাত ও মাস্ক এর ব্যবস্থা করেছেন, ওনাদের ধন্যবাদ জানাই ।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় জনসাধারণ ।