সুশান্তের কেসে উঠে আসছে আরও নানা তথ্য

0 0
Read Time:5 Minute, 19 Second

নিউজ ডেস্ক (অনামিকা নন্দী): যে নিজেকে সুশান্তের দশ বছরের পুরনো বন্ধু বলছেন, তার সাথে অ্যাম্বুলেন্স চালকের ও মুম্বাই পুলিশের কথোপকথনের প্রমাণ পেয়েছে সর্ব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এবং বর্তমানে শোনা যাচ্ছে তিনি ভিসা করিয়েছেন লন্ডনের। কথা হচ্ছে সন্দীপ সিং এর।

সুশান্তের মৃত্যুর পর কেটে গেছে দু মাস। আর এই দুই মাসে ঘটেছে অনেক কিছু, সামনে এসেছে অনেক তথ্য। সুশান্তের মৃত্যুর পর ঘটনার তদন্তের ভার পড়ল মহারাষ্ট্র পুলিশের উপর। তারা এটিকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করল এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো বড় বড় পরিচালক-প্রযোজক সহ রিয়া চক্রবর্তীকেও। কিন্তু মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তে অভিনেতার পরিবার সন্তুষ্ট না হওয়ায়, অভিনেতার বাবা ঘটনার এক মাস পর বিহার পুলিশের কাছে রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর শুরু হয় বিহার পুলিশের তদন্ত কিন্তু এই তদন্তে মহারাষ্ট্র পুলিশ কোন সাহায্য না করায় সিবিআই এর ওপর দায়িত্ব ভাঁড়ের আর্জি দেওয়া হয় সুপ্রিমকোর্টের কাছে।প্রায় ৬৬ দিন পর সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার নেওয়ার রায় দেয়। তারপরই শুরু হয় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, বাড়ির কর্মচারী ও রান্নার লোক নীরজ, কেশব সহ সুশান্তের প্রাক্তন এবং বর্তমান অ্যাকাউন্টেন্টকে ও সমন পাঠানো হয় মুম্বাইয়ের দুজন পুলিশ কর্তা সহ আরো অনেককে। তদন্ত করা হয়েছে সুশান্তের পোস্টমর্টেম রিপোর্টৈর এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে সুশান্তের বাড়িতে, সঙ্গে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ফটোগ্রাফ ও করা হয়েছে ভিডিওগ্রাফিও। মেডিকেল এর সমস্ত দিক তদন্ত করতে মুম্বাই এসেছে AIIMS- এর ফরেনসিক টিম। যারা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এর তদন্ত করে প্রশ্ন তুলেছে তাতেও।

এছাড়া সন্দেহভাজনের তালিকায় নাম আসে সন্দ্বীপ সিংয়ের। তিনি একদিকে নিজেকে ১০ বছরের পুরনো বন্ধু বলছেন আর অন্যদিকে তার সাথে এক বছর ধরে সুশান্তের যোগাযোগ না থাকার প্রমাণ রয়েছে। এরপর ইডির তদন্ত অনুসারে সামনে এসেছে, রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আছে নারকটিকস-এর এবং এর প্রমাণ রয়েছে রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট-এর কথোপকথনে । ইডির তদন্তভারের ভিত্তিতেই বৈঠক হয়েছে নারকটিকস-এর। শোনা যাচ্ছে ইডির তদন্তের তালিকায় নাম রয়েছে বড় বড় বিজনেসম্যান, রাজনীতিবিদসহ, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। ইডির তদন্ত অনুযায়ী রিয়া চক্রবর্তী বেআইনি ড্রাগস দিচ্ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতকে এবং এর সাথে যুক্ত রয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডা, শ্রুতি মোদি, দীপেশ সাওয়ান্ত, জয়া সাহাসহ, সিমন খাম্বাটা।

প্রায় লাগাতার পাঁচ দিন ধরে সিদ্ধার্থ পিঠানি, কেশব, নীরজদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় রিয়া সুশান্তের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন প্রত্যেকদিন সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হতো কুড়ি হাজার টাকা, এমনকি সুশান্তের ওষুধপত্রের ও খেয়াল রাখতেন তিনি।এছাড়া রিয়া চক্রবর্তী ও মহেশ ভটের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনের ভিত্তিতে ওঠে রিয়া চক্রবর্তী ও মহেশ ভাটের সম্পর্কের উপর প্রশ্ন! রিয়া চক্রবর্তীকে সমন পাঠানো না হলেও সন্দেহভাজনের তালিকায় রিয়া চক্রবর্তীর নাম সবার প্রথমে রয়েছে।

সুশান্তের কেস নিয়ে রোজই উঠে আসছে নতুন তথ্য আর তাতে বাড়ছে জটিলতা কিন্তু বর্তমানে নারকটিকস এর সাথে জড়িয়ে পড়ায় তদন্ত এগোচ্ছে বেশ দ্রুত গতিতেই। এবার প্রশ্ন একটাই হত্যা না আত্মহত্যা!

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!