সুশান্তের পরিবারের বিবৃতি মিথ্যে: সতীশ মানেশিন্দে
নিউজ ডেস্ক (অনামিকা নন্দী): সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ৮ জুন রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে কেন বেরিয়ে এসেছিলেন! সিবিআই তা রিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি এ বিষয়ে তেমন কিছু উত্তর দেননি, বরং এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুশান্তের দিদি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সুশান্তের ওষুধ বদলে দেওয়ার কারণে ৮ জুন রিয়া রেগে গিয়ে সুশান্তের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
রিয়ার আইনজীবী এই বিষয়ে জানিয়েছেন রিয়া সিবিআইকে নকি জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা ৮ জুন সুশান্তের সাথে কথা বলেন এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সে ভাইকে ওষুধ খেতে বলেন। সুশান্ত তখনও নিজের পুরনো ওষুধ খাচ্ছিলেন। তাই রিয়া তাকে নতুন ওষুধ খাওয়াতে প্রতিবাদ করলে, সুশান্তের সাথে তার ঝগড়া হয় এবং সুশান্ত নিজে থেকে তাকে চলে যেতে বলে। রিয়ার আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, যেখানে রিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তের পরিবার মামলা দায়ের করেছে এবং জানিয়েছে তারা সুশান্তের মানসিক অবসাদের কথা জানতেন না সেটা ভুল। তিনি জানান, তারা সুশান্তের মানসিক অবসাদের কথা আগে থেকেই জানতেন এবং সুশান্তের পরিবার মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, সুশান্ত থাকেন মুম্বাইতে, তাহলে তাকে অন্য কোন জায়গার চিকিৎসক ওষুধ দিলেন কি করে! রিয়ার আইনজীবী সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রেসক্রিপশন বার করার অভিযোগ এনেছেন। এমনকি তার কাছে সেই দিনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের কথোপকথন-এর প্রমান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি সঙ্গে আরেকটি বিস্ফোরক দাবি করেন যে, রিয়া চলে আসার পর সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মিতু তার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেখানে রিয়ার কোন অধিকার ছিল না। সবমিলিয়ে রিয়ার আইনজীবী প্রমাণ করতে চাইছেন, সুশান্তের পরিবার প্রথম দিন থেকেই মিথ্যে কথা বলছে এবং ৮ জুন রিয়ার বাড়ি ছেড়ে বেরোনোর পেছনে রয়েছে সুশান্তের পরিবার।
সুশান্তের ঘটনা এমন একটি হাইপ্রোফাইল কেস হয়ে দাঁড়িয়েছে যার প্রত্যেকটি তথ্যকে খুব ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে সিবিআইকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিনই উঠে আসছে কিছু না কিছু নতুন তথ্য, সংযুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন লোক। কিন্তু কে কিভাবে এ ঘটনার সাথে জড়িত তারই তদন্ত করছে সিবিআই-এর তদন্তকারী দল।
এবার দেখার রিয়ার আইনজীবীর দাবির মধ্যে কতটা পরিমাণ সত্যতা রয়েছে!