বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল নদীর দুই পাড়ে থাকা যোগাযোগ ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক: হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের ফলাহার নদীর উপর মিরপাড়া গ্রাম থেকে বিহার যাওয়ার একমাত্র বাঁশের সাঁকো।
উল্লেখ,গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির ফলে জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের নদীগুলোতে। ভারী বৃষ্টির ফলে ফুলহার নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের ফলাহার নদীর উপর মিরপাড়া থেকে বিহার যাওয়ার ক্যানেলের বাসের সাঁকোটি গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ভেঙে যায়। ফলাহার নদীর উপরে থাকা কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র বাঁশের সাঁকো ছিল এটি। গ্রামবাসীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু গত চারদিন ধরে চলা প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এই সাঁকোটি ভেঙে পড়ে।এখন দুই পাড়ের মানুষ ঝুঁকির সহিত নৌকায় চেপে পারাপার হচ্ছে। কেউ সাইকেলে ফসল নিয়ে এপারে আসছেন আবার কেউ শিশু সন্তান কোলে নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি নদীর উপর সেতু হবে, কিন্তু সেই সেতু হলো কই। নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা ছিল এই বাঁশের সাঁকোটি। ভরা নদী তে নৌকায় হচ্ছে এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। তাই আমাদের জীবনের ঝুঁকির সহিত নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু গত চার দিনের প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে জল বাড়াই জলের তোড়ে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকোটি। এখন আমাদের দুই পাটের বাসিন্দাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অবিলম্বে প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানায় স্থানীয় ।