করোনাকালীন দুর্গাপূজা
প্রীতি বসাক: প্রতিবছরের মতো নয় এই বছর। এই বছরটা অনেকটাই আলাদা। চারদিকে করোনা মহামারী এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে যে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষের মন দোলাচলে ছিল যে আদৌ কি পুজো হবে এই বছর! হ্যাঁ দুর্গাপূজা হবে। আমরা সবাই বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও প্রতিমাকে বরণ করে নেব।
এবার দুর্গা পূজার থিম বলতে করোনাই হিটলিস্টে। শিয়ালদহ যুবদলে নজর দিলে বোঝা যাবে যে, তাদের চোখে করোনাই আসল অসুর। তাই তারা অসুরকে এবার করোনাভাইরাস এর মত করার চেষ্টা করেছে। সন্তোষপুর লেকপল্লির থিমেও এ বছর করোনা। তাদের অসুর অবশ্য করোনার মতো দেখতে হবেন না। ওই পুজোয় করোনাময় বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হবে। বড়িশা ক্লাব, হিন্দুস্তান পার্ক ও বাঘাযতীন তরুণ সঙ্ঘের পুজোর থিমও এ বছর করোনাময়।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অনেক রকমের বিধি-নিষেধ দূর্গা পূজার প্যান্ডেল গুলিতে পালন করা হবে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে এ বছর দুর্গা পূজা হবে কিন্তু থাকবে না দর্শনার্থীদের সেই উপচে পড়া ভিড়। কারণ এই বছর সন্তশ মিত্রা স্কোয়ারে পূজা হবে ঠিকই, কিন্তু যে, প্যান্ডেল এর গেট বন্ধ থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। কিছু কিছু ছোট বাজেটের প্যান্ডেল থেকে বলা হয়েছে যে অঞ্জলি সময় নিজেদের বাড়ি থেকে ফুল নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু অঞ্জলি দেওয়ার সময় মানুষের জমায়েত হবে। তখনকার পরিস্থিতি কি করে তারা সামাল দেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এই বছর ৩৩ পল্লীতে যেমন পূজা হবে ঠিকই, কিন্তু এই বছর তাদের বাজেট থাকছে খুবই কম। তারা এই বছর যেমন সমাজসেবার কাজেও ছিলেন, তেমনি দুর্গাপূজাও করবেন।
প্রত্যেকটি পূজা প্যান্ডেলের তরফ থেকে কতগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করা হবে। প্যান্ডেলে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হবে। প্রত্যেককেই মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং মাস্ক না থাকলে তা দেখার দায়িত্ব প্যান্ডেলের কর্তাদের। এছাড়াও আরও বিধি নিষেধ বা নিয়মকানুন তো রয়েছেই।
প্রত্যেকেই যেমন করেই হোক না কেন মায়ের আরাধনায় থাকবেন। কিন্তু তা প্রতি বছরের মতো না। এই বছরের চিত্র এইরকমই ভিন্ন ধরনের।