রীতি মেনে “নবপত্রিকা স্নান”
সবসময়ই উদ্দেশ্য থাকে নিয়মকানুন মেনে সমস্ত রীতিকে পালন করা। কিছু সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিস্থিতি, আবার কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই তা মেনে চলা হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে চলতি বছরে পরিস্থিতির দরুন নিয়মকানুনের সঙ্গে আপোস মানাতে হয়েছে সকলকেই। পরিস্থিতির পাশাপাশি ধোঁকা দিয়েছে প্রকৃতিও।
সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। তারই মধ্যে সপ্তমীর সকালে নিয়ম মেনে চলেছে নবপত্রিকা স্নান করানোর প্রস্তুতি। পরিস্থিতি ও প্রকৃতি দুটোর সঙ্গে লড়াই করে, শোভাবাজার রাজবাড়ির নবপত্রিকা তিথি অনুযায়ী ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, যাত্রা শুরু করে স্নানের উদ্দেশ্যে। স্নান হয় কুমারটুলি ঘাটে। প্রতিবারের মত জাঁকজমক না থাকলেও, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে লোক কম নিয়েই হল নবপত্রিকা স্নান। শোভাবাজার রাজবাড়ির পাশাপাশি ঘাটে হয়েছে, একাধিক বাড়ির নবপত্রিকা স্নান।
পান্ডাল বা মন্ডপের পুজোর থাকে একরকম আবহাওয়া। আর বনেদি বাড়ির পুজো থাকে আরেক রকম আবহাওয়া। বনেদি বাড়ির পুজো মানেই সেখানে রীতি, নিয়ম, পরম্পরা। মহালায়ায় প্রতিমার চক্ষুদান পর্ব থেকে শুরু করে রথে কাঠামো তৈরি সমস্ত রীতি মানা হয় যেকোনো পরিস্থিতিতেই। একইভাবে করোনা পরিস্থিতিতে একটু অন্যরকম ভাবনা চিন্তা নিয়ে চলছে পুজো। সুস্থতার কথা মাথায় রেখে মানা হচ্ছে সমস্ত সতর্কবার্তা। ষষ্ঠীতে যেমন বোধন বাদ যায়নি, তেমনি সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নানও বাদ যায়নি।
পরিস্থিতি যতই ধরাশায়ী হোক না কেন, মানা হবে সমস্ত নিয়মই। পঞ্জিকা দেখে পালন হবে সমস্ত রীতি। আর সেই বিশ্বাসেই পুজো চলছে বনেদি বাড়ির ঠাকুরদালানে।