ভুল তথ্য দিয়েছেন বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকীতে: ব্রাত্য বসু
নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী উদাযাপন উপলক্ষে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানেই তিনি কবিগুরু ও তার পরিবার সম্পর্কে অনেক কথাই বলেন জনজাতির উদ্দেশ্যে। তিনি কবিগুরু ও তার পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন এই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু৷
বক্তব্য তিনি বারংবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে যে গুজরাতের যোগ ছিল তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড়দা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন আইসিএস-এ ছিলেন , তখন তিনি গুজরাতের আমেদাবাদে কাজ করতেন৷ এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে ও বেশ কয়েকবার গুজরাতে গিয়েছিলেন৷ বেশ দীর্ঘ সময় সেখানে কাটিয়েছেন৷’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গুজরাতে দীর্ঘ সময় ছিলেন রবীন্দ্রনাথ৷ ক্ষুধিত পাষাণের একটি অংশ এবং দু’টি জনপ্রিয় কবিতাও গুজরাতে বসেই লেখেন তিনি৷
এই প্রসঙ্গেই সতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, ‘গুজরাতি মহিলারা শাড়ির আঁচল ডানদিকে পরতেন৷ কিন্তু তাতে কাজ করতে অসুবিধা হত৷ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সেটি লক্ষ্য করেন৷ এর পর থেকেই তিনি শাড়ির আঁচল বাঁদিকে রাখার রীতি নিয়ে আসেন৷ তিনি এও বলেন, আমার ঠিকভাবে জানা নেই, কিন্তু শাড়ির আঁচল বাঁদিকে রাখার প্রচলন সম্ভবত জ্ঞানদানন্দিনী দেবীই শুরু করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই তথ্যেই ভুল , বলেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু৷ তিনি বলেন, ‘সতেন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজদা ছিলেন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে বড়দা বানিয়ে দিলেন৷এমনকি সতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীকে বললেন জ্ঞানন্দিনী৷ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী যে গুজরাতি মহিলাদের দেখেই শাড়ির আঁচল বাঁদিকে পড়তেন, একথা কিছুটা সত্যি, সম্পূর্ণটা নয়। ব্রাত্য বসু বলেন, গুজরাতি মহিলাদের পাশাপাশি পার্সি নারীদের থেকেও শাড়ির আঁচল বাঁদিকে রাখার বিষয় টা গ্রহণ করেছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী৷ কিন্তু পার্সি মহিলাদের নাম তো একবারও প্রধানমন্ত্রী মুখে নিলেন না৷’ব্রাত্য বসু আরও প্রশ্ন তোলেন, গুজরাতের সঙ্গে কেন বারংবার গুজরাত শব্দটা প্রধানমন্ত্রী উচ্চারণ করেছেন৷ গুজরাতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগ প্রমাণ করতে প্রধানমন্ত্রী র ই বা এত তাড়াহুড়ো কিসের?