হাতি তাড়াতে গিয়ে হুলার আগুনে আহত এক পড়ুয়া

0 0
Read Time:2 Minute, 57 Second

নিউজ ডেস্ক: গত চার পাচ দিন ধরেই গোয়ালতোড় বনাঞ্চলের শাখাভাঙ্গা, ধরমপুর, কদমডিহা দেবগ্রাম প্রভৃতি গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি হাতির পাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতি তাড়ানোর কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এর ফলে আলু সহ মাঠের শীতকালীন বিভিন্ন সব্জির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি গ্রামে প্রবেশ করে বাড়ির ভাঙ্গচুর করছে। বনদপ্তরের এই উদাসীনতার কারনে গ্রামবাসীরা নিজেরাই হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেই। আর সেই হাতি তাড়াতে গিয়েই শুক্রবার রাতে হুলার আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক স্কুল পড়ুয়া। আহত ওই ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা তো দুরের কথা তার খোজখবর পর্যন্ত নেই নি বনদপ্তরের আধিকারিকরা। তাদের এই উদাসীনতার কারনেই বনদপ্তরের কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখালো স্থানীয়রা। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে গত প্রায় ৪-৫ দিন ধরে ধরমপুরের জঙ্গলে হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হাতি তাড়ানোর জন্য ধরমপুর, শাখাভাঙ্গা, দেবগ্রামের বাসিন্দারা গতকাল রাত্রীতে একত্রিত হয়ে হাতি তাড়ানোর কাজ শুরু করে সেই সময় একটি হাতি হঠাৎ করেই তুহিন মাহাত নামের এক একাদশ শ্রেনীর পড়ুয়ার দিকে ছুটে যায়। তাকে বাচাতে একজন হুলা ফিকে দেয় হাতির দিকে৷ কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হয়ে সেই হুলাটি তুহিনের গায়ে লাগে। জলন্ত হুলা গায়ে লেগেই গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই ব্যাপার টি রেঞ্জ অফিসে জানানো হলেও কোনো রকম ব্যাবস্তা নেইনি তারা। তাদের সেই উদাসীনতার কারনে এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দাবী হাতি তাড়ানোর পাশাপাশি, ফ্সলের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহত তুহিনের চিকিৎসার সমস্ত ব্যাবস্থা করতে হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!