লাইভে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপধ্যায়

1 0
Read Time:4 Minute, 13 Second

নিউজ ডেস্কঃ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে ফেসবুক থেকে লাইভ আসবেন বলে জানিয়ে ছিলেন তিনি নিজেই। কি বলবেন তিনি লাইভে এসে তা নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। কারণ বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেসুরো শোনাচ্ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম দুজনে মিলে বেশ কয়েকবার তাকে বোঝানোর ও চেষ্টা করেছেন, এমনও দেখা গেছে। কিন্তু তাতেও বরফ তেমন গলেনি রাজীব বন্দ্যোপধ্যায়ের। তাই আজকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইভে দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে।

এদিন তিনি লাইভে বলেন, আমি মনে করি যুব সমাজই ভবিষ্যতে আমাদের পথ দেখাবে। কেন এই যুব সমাজের চলার পথ ব্যাহত হবে? তাই আমি সবসময় যুব সমাজকে দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছি। যুব সমাজ চাইছে কেউ তাদের পথ দেখাক। চাকরি চেয়েও যুব সমাজ চাকরি পাচ্ছে না , দেখে খারাপ লাগে। যুব সমাজকে একটা সঠিক রাস্তা দেখালে, আমাদের অনেক কাজই সফল হয়।

https://fb.watch/32MrKiNIeG/

এরপর তিনি বলেন, যখন দেখি এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না কোনো ছাত্র, তখন খারাপ লাগে। এই রাজ্যে যে সম্পদ আছে, যে মেধা আছে, তা অন্য কোনো রাজ্যে নেই। তাও যথাযথ সুযোগের অভাবে অনেকে রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। আমি সব সময়ে একটা কথা জানি, বাংলার মানুষ ভাল থাকলে, আমিও ভাল থাকব। যুব সমাজকে বলব, লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না।

বাংলার শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলায় শিল্প আনলে, কাজের পরিবেশ তৈরি হবে, অনেক মানুষের কান্না বন্ধ হবে। আমি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করি। যখনই ভাল কিছু করতে চেয়েছি, কখনো সেটা করতে গিয়ে বাঁধা পেলে দুঃখ পেয়েছি। কাজ করতে গিয়ে বাঁধা পাওয়ার ক্ষোভ জনতার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি।

এরপর তিনি তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বলেন, আমাদের কর্মীদের কী দুঃখ, কী হতাশা, তা আমি জানি। সেই কর্মীদেরই আমরা ভুল বোঝাচ্ছি, অবিচার করেছি ওদের সাথে অনেক সময়। কর্মীরা শুধুই একটু সম্মান চায়, আর কিছু চায় না। কর্মীদের সম্মান দেওয়ার কথাই সব সময় বলেন দলনেত্রী। কর্মীদের সম্মান না পাওয়ার কথা বলাটা কি অন্যায়? কাজ করতে গিয়ে বাধা পেলে, তা বলাটা কি অন্যায়?

নিজের ক্ষোভ থেকে বলে ওঠেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, এটা সবাই চান। ভাল কিছু করার চেষ্টা করলে, কিছু নেতা এর অপব্যাখ্যা করছেন। মানুষ যা চাইবেন, মানুষের সঙ্গে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে যেখানে বাঁধা পেয়েছি , সেখানেই জানিয়েছি। কিছু মানুষ আছে, ভুল বুঝিয়ে অন্য পথে চালানোর চেষ্টা করেছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছি, তা নিয়েও অপব্যাখ্যা। সেই অপব্যাখ্যার তো কোনও প্রতিবাদ করা হচ্ছে না? আমি কি নিজের স্বাধীনতায় কিছু বলতে পারব না? আমরা তো স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, কাজ করতে চাই।

Happy
Happy
100 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!