আবার তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা, শুভেন্দু অধিকারীর
নিউজ ডেস্ক: আবারও নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে কয়েকদিন আগেই সভা করে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকেও নির্বাচন লড়তে চান তিনি। তখনই বিজেপি সহ বিরোধী শিবিরের একাংশ কটাক্ষ শুরু করে বলেছিল, উনি ভবানীপুরে জিততে পারবেন না সেটা উনি ভালো করেই জানেন। তাই নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে চাইছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, দুজায়গা থেকে দাঁড়াতে দেব না। এক জায়গা থেকে উনি লড়ুক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিন আরও বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম তাঁর হৃদয়ে রয়েছে। যা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ৫ বছর পর পর ওনার নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে। তার নাকি নন্দীগ্রাম হৃদয়ে থাকে! আজ আবার একই কথা শোনালেন জনগণকে শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মাননীয়ার নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে ৫ বছর অন্তর। ওনাকে চোদ্দোটা এলাকাতেই ভো কাট্টা করে দেব, আমরা প্রস্তুত আছি ওনাকে হারানোর জন্য। উনি হতে গোনা তিনটি এলাকা থেকে ভোট পাবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর হরেকৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে এই বলে স্লোগান চালু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার স্লোগানের পাল্টা স্লোগান তুলে বলেন, হরেকৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় যাও বিজেপি-বাম। শুভেন্দু এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঘাস ফুলের জননেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, এখন বিজেপির স্লোগান চুরি করছেন তৃণমূলনেত্রী। এরপর তিনি তৃণমূল দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ওই দল খাটে উঠে গিয়েছে, এখন বলতে হবে হরিবোল। সেইসঙ্গে তিনি আবার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের নামে। বলেন, মোদিজির পাঠানো করোনা-টিকা চুরি করেছে রাজ্য সরকার।
এরপর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখানকার মাটিটা আমি চিনি, পদ্মফুল যার, জিতবে সে। পাশাপাশি এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে ডাক দেন, এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন, আমি কাজ শুরু করেছি।পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভোটের দিন ঘোষণার পর এই মাটিতে বীজ পুঁতব, আর ফল ঘোষণার দিন ফসল তুলব এই মাটি থেকেই।