নানা রোগের সমাধান পেতে পারেন প্রতিদিন খেজুর খেলে
নিউজ ডেস্ক: খেজুর কম বেশি আমরা সকলেই খেতে ভালোবাসি। তবে প্রতিদিন হয়তো আমাদের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখা হয় না। এমনকি আমরা জানিও না খেজুর কতটা উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে। আসুন দেখে নেওয়া যাক খেজুর থেকে আমাদের স্বাস্থ্যের কতটা উপকার পেতে পারি।
একটু শক্ত খেজুরকে জলে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে। সেই জলটি পরের দিন সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকাংশেই কম হবে।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে খেজুর খুব উপকারী। সাধারণত এই সময়টা গর্ভবতী মায়েদের শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে থাকে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর খুব উপকারী। বাচ্চা প্রসবের পরেও শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি থাকে। যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের তারা যদি প্রতিদিন তাদের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখেন তাহলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হয়। খেজুর নিয়মিত খেলে আপনার শরীর ও মন দুটাই ভালো রাখা সম্ভব।
ক্যান্সার রোধের ক্ষেত্রে খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও আমাদের মুখের মধ্যেও ক্যান্সার না হওয়ার ক্ষেত্রে খুব উপকারী।
বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। কেননা খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ব্লেন্ড করা জুস করে খেলে হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি কিছু দিনের মধ্যে ভাল ফল পাবেন।
বদহজম রোধে র জন্যেও খেজুর খুব উপকারী। আমাদের মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। যার ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
খেজুরের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পরিমাণে উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর সাধারণত জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
সাধারণত যারা নেশাগ্রস্ত তাদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে খেজুর। আপনার স্বাস্থ্য ভালো করতে চাইলে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের রুচি দিগুণ বৃদ্ধি পাবে। খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।