রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য
নিউজ ডেস্ক: বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শমীক ভট্টাচার্য বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখলেন। নির্বাচনের ঠিক আগেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে যে ধরণের হুমকি ও কথাবার্তা বলা হচ্ছে , তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনো কুরুচিকর মন্তব্য তাদের দল থেকে করা হয় না। কিন্তু ভাঙ্গরের সভাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পূর্বপুরুষদের তুলে যে রকম কথাবার্তা বলেছেন সেটা কোন ধরনের সংস্কৃতি। ওদিকে গতকাল যেভাবে তৃণমূল নেতা অরূপ রায় বিজেপিকে উড়িয়ে দেব বলে হুমকি দিয়েছেন সেটা কোন সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে ? এদিন তিনি দাবি করেছেন এগুলি যে কোন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী। খেলা হবে প্রসঙ্গে তুলে এদিন শমীক ভট্টাচার্য বললেন বীরভূম জেলায় দাঁড়িয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য বারবার হুমকি তোলা হচ্ছে খেলা হবে খেলা হবে ।
এদিন , ১৩৮ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে বলে দাবি করলেন শমীক ভট্টাচার্য । এদিন তিনি আগত রথযাত্রা নিয়ে বললেন , এখনো পর্যন্ত বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া জনগণের পক্ষ থেকে মেলেনি। বিজেপির রথযাত্রা পরিবর্তনের যাত্রা শান্তিপূর্ণ যাত্রা অযথাই সেটাকে নিয়ে নানা কথা বাড়ানো হচ্ছে।
এদিন তিনি আরো বললেন, যতদিন তৃণমূল কংগ্রেসে তাদের মন্ত্রীরা বা কর্মী রয়েছেন ততদিন তারা সোনার টুকরো , আর যেই তৃণমূল থেকে বেরোচ্ছেন তখনই তারা চোর দুর্নীতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন। যা শুধু বিজেপি বা কোনো রাজনৈতিক দলের লোকেরাই নয় বাংলা সাধারন মানুষের কাছেও হাস্যকর ।
এদিন শমীক ভট্টাচার্য দাবি করলেন এই সরকারের অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের কোন নিজস্ব স্থান নেই। তিনি বললেন নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকার মানুষের জন্য নানারকম প্রকল্প নিয়ে আসা সবই জনগণ বুঝতে পারছে , এগুলো আদেও কোনদিন সম্ভব নয় কারণ এই সরকারের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এত টাকা বাজেটই নেই। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ১৩০% ব্যয় করছে কিন্তু রাজ্য সরকার তার ব্যয় কত ? আজ রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পকে গ্রহণ না করে এই স্বাস্থ্য সাথীর প্রকল্প চালু করা। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ক্ষমতায় এসে তারা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের রূপান্তর করবেন।
এদিন তিনি এ দাবি করলেন এই নির্বাচনকে হিন্দিভাষী ও বাংলাভাষীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের নির্বাচন বলছে । এদিন তিনি আরও জানালেন , এর আগে তৃণমূল সরকার হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে উত্তরবঙ্গে গিয়ে নানা জাতির মধ্যে সংঘাত লাগিয়েছে, এবার তারা নির্বাচনের আগে নতুন করে বাংলাভাষী ও হিন্দিভাষীদের মধ্যে সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা করছে। মাওবাদীদের সহকারী পদে তথা হোম গার্ডের চাকরি দেবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কেউ চাকরি পাননি তারা সকলে এখন আন্দোলন করছেন সরকারি অফিসগুলোর বাইরে।
এদিন তিনি বিজেপির জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলে ধরে বললেন, এক সময় নবদ্বীপের ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্যদেবের নির্দেশে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে রাম মন্দির রয়েছে এছাড়াও রামের নামে বিভিন্ন জায়গার নাম রয়েছে, সেগুলো তৃণমূল সরকার শুনতে পাননা ও দেখতে পাননা।তারা শুধুমাত্র জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পায়। এরা ভোটের সময় বাংলার মানুষদের মধ্যে বিভাজন করতে চান তার জন্যই তারা এইরকম কথাবার্তা বলছেন ।