কিষানদের সামলানোর ক্ষমতা নেই মমতাকে সামলাবে: মুখ্যমন্ত্রী

0 0
Read Time:5 Minute, 32 Second

নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এদিন তিনি সবার প্রথমে ট্রেনে হামলা হওয়ার জাকির হোসেনকে নিয়ে সুর চড়ান। বলেন, আজ জাকির হোসেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, ও খুব পপুলার নেতা। জাকিরকে সরিয়ে দেওয়াই বিজেপির লক্ষ্য। সিআইডি, এসটিএফ নিয়ে সিট তৈরি করেছি। কেন স্টেশনে আলো জ্বলছিল না? রেলের সবটা রেল পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে। রেল স্টেশনে সব দায়িত্ব রেল পুলিসের হাতে।

এরপর তিনি জেলার নেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্বকে বলব, মনে রাখবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপরে ওদের খুব লোভ আছে। সুন্দরবনে কুমীর বেরোলে ওদের দেখা পাবেন না। আমফানের ঝড়ে অত লোক মারা যায়, একটা পয়সা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির এক নেতা গঙ্গাসাগর দেখতে গেছেন। নামেই বন্ধু। তিনি গিয়ে বলেছেন, গঙ্গাসাগর এতটা খারাপ! এই মূর্তিমান কোথায় ছিলে গো? একটা থাকার জায়গা ছিল না। লজ্জা করে না।

আজ গঙ্গাসাগরে যাওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে কটাক্ষ করে বললেন, খালি বুয়া-ভাতিজা করে চলেছে। অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, আগে অভিষেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারাও। নিজের ছেলেকে আড়াল করে বাকিদের ভয় দেখাচ্ছেন। আপনার ছেলেও তো আমার ভাইপো। সে কী করে ক্রিকেটের মাথায় বসল? কী করে কোটি টাকা করল? ওরা বলছে দুর্গাপুজো করতে দেয় না মমতা। এমনি এমনি ক্লাবগুলো ৫০,০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। ওদের নেতারা তো দুর্গাকে চেনে না। আমাদের হিন্দু ধর্ম শেখাবেন না?আরও বলেন, মা বোনেদের বলব, বাড়ি গিয়ে উল্টোপাল্টা বললে কান মুলে দেবেন। কান মুলে দিলে কেস হবে না। না পারবে কাউকে দেখাতে না পারবে কেস করতে। খালি মিথ্যা কথা। আমি কখনও দেখিনি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এত মিথ্যা কথা বলে।

বিজেপির দুর্নীতি তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এনআরসি, এপিআর, সিএএ কিছু হবে না। আগে নিজেদের মা-বাবাদের সার্টিফিকেট দেখাও। ফাইভস্টার থেকে খাবার আনছে। একটু ছিঁড়ে মুখে দিচ্ছে। ওটা ভাঁওতা। গরিব মানুষকে অপমান করছেন। উত্তরপ্রদেশে ৭টি শিশুকন্যার মৃত্যু নিয়ে একবারও বলেছো। দিল্লিতে দাঙ্গায় এত লোক মারা গিয়েছে, একটাও কথা বলেছো। কৃষকদের রাস্তায় পেরেক পুঁতছো। তারা আবার নাকি বাংলা দখল করবে? আগে দিল্লি সামলাও। কিষানদের সামলানোর ক্ষমতা নেই, মমতাকে সামলাবে। এই চেহারায় হবে না। ও তো ফোলাফোলা চেহারা। বেশ নাদুসনুদুস, ফানুসফানুস চেহারা। যাও গিয়ে বাড়িতে ঘর পোছো। ডান্ডার সাথে লড়াই করো।

এরপর তিনি নিজের ভাইপোর প্রসঙ্গ টেনে বললেন, অভিষেক আমার কাছে অগ্রাধিকার পায় না। হাজরায় আমাকে মারা হয়েছিল, তখন ও ছোট্ট। ও তখন কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করত। দু’বছর বয়স থেকে এটা করত। দিদিকে মারলে কেন, জবাব দাও, জবাব দাও। এরা বিদেশে চলে যেতে পারত। ওকে দুর্ঘটনায় মারার চেষ্টা হয়নি? ও একটা চোখে আজও দেখতে পায় না। আমার জন্যে ওকে কথা শুনতে হয়। আমি তাও বলেছিলাম, মানুষের কাজ কর। লোকসভায় দাঁড়াতে হবে না। ও বলল, না আমি মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হব। আমি অমিত শাহকে বলছি, অন্যরা রাস্তায় নেমে কাজ করে, তেমন তোমার ছেলেদের নামাও।

বিজেপির রথযাত্রাকে কটাক্ষ করে বললেন, রথযাত্রা ফ্লপ। সভা ফ্লপ। প্রতিদিন কেউ না কেউ হামলা করে, আহারে কত গুরুত্বপূর্ণ লোক! আমরা হামলা করি না। পুরনোরা তো কেউ নেই। এঁচোড়ে পাকা বসে আছে। তোমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। ২০২১ সালে সব রেকর্ড ভাঙব। বাংলাকে ধমকালে চমকালে বাংলা গর্জায়। আমি মানুষের কাছে মাথানত করি। বিজেপির কাছে মাথানত করার চেষ্টা মৃত্যু শ্রেয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!