২ মে এর পরের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিজেপির
নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তারই মধ্যে রাজ্যে ভোটের প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জয়নগরে জনসভা থেকে জন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন তিনি। আজকের এই সভায় প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের তীর যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এবার বাংলায় বিজেপি ২০০ আসন ছাড়িয়ে যাবে। বাংলায় বিজেপির ঢেউ উঠেছে। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রক্তের খেলা আর চলবে না। অত্যাচারের খেলা চলবে না।
নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, শোভা দেবীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। অবাক লাগে, এত অত্যাচারের পরেও দিদি “কুল কুল” বলেন। দিদি তৃণমূল কুল নয়, বাংলার মানুষের কাছে শূল। দিদি আপনাকে হত্যার হিসেব দিতে হবে। এছাড়াও তিনি বললেন, দিদির কিছু সিদ্ধান্ত বাংলার এক্সিট পোল হয়ে গেছে। দিদি ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গেলেন। ভোটের গতিবিধি বলছে দিদির হার নিশ্চিত।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অন্যান্য দলের কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে চিঠিকে দিয়ে মোদি বলেছেন, দিদি হারের ভয়ে দেশের কিছু নেতাকে চিঠি লিখেছেন। যদি গত ১০ বছরে বাংলার জন্য কাজ করতেন, তাহলে এক জায়গায় ৩ দিন থাকতে হত না। দিদি ঘাবড়ে গিয়ে আগেই ইভিএমের দোষ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগানে মমতার সমস্যা। দুর্গা বিসর্জন নিয়েও মমতার সমস্যা। এখন দিদি তিলক দেখলেও রেগে যাচ্ছেন। দিদি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছেন। সোনার বাংলার লক্ষ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করবে।
তিনি আরও বলেছেন, আমায় যত খুশি গালাগাল দিন, কিন্তু মানুষকে অপমান করবেন না। আমি বাংলাদেশে গিয়ে ওড়াকান্দিতে মতুয়া মন্দিরে গিয়েছিলাম। তাতেও দিদি রেগে গিয়েছিলেন। হরিচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করা কি অপরাধ!
আরও বললেন, দিদি বাংলার কৃষকদের ক্ষতি করেছেন। ২ মে বিজেপির সরকার গঠনের পরই কৃষক প্রকল্পের টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ৩ বছরের বকেয়া টাকাও কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। মৎস্যজীবীদের শুধুমাত্রা তোলাবাজি দিয়েছেন দিদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আসল পরিবর্তন আর মাত্র একমাস দূরে।