নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিতর্কের মুখে দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: আবারো বিতর্কে মুখে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার বিজেপির চিরাচরিত রীতি হিন্দুত্ববাদ নিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি হলেন তিনি। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করলেন। বাঙালির চিরচেনা নববর্ষেও তিনি জুড়ে দিলেন হিন্দুত্বের নতুন ধারা, ব্যাস তারপরই শুরু হয়ে গেল বিতর্ক। গতকাল ফেসবুকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। সেই পোস্টে লেখা ছিল “সকলকে জানাই হিন্দু নববর্ষের শুভেচ্ছা”। সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও আপলোড করেন। তার বক্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, “বিশ্বের সব চেয়ে প্রাচীনতম বিক্রম সংবৎ-এর দিন শুরু হচ্ছে। এটা ভারতবর্ষের গৌরব গরিমা, সংস্কৃতির পরিচায়ক। আমরাই বিশ্বের মধ্যে প্রথম সাল গণনা শুরু করেছিলাম। কলিযুগাব্দ এবং তার পর বিক্রম সংবৎ। এটি ভারতবর্ষের পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টির প্রথম দিন হিসাবে ধরা হয়। ভগবান রামের রাজ্যাভিষেক হয়েছে এই দিনে। তাই আজকের দিনটা আমাদের কাছে খুব গর্বের। আমরা সমস্ত ভারতবাসী এবং তথা বিশ্ববাসীকে একজন গর্বিত ভারতীয় হিসাবে হিন্দু নববর্ষের প্রথম দিনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
আর এই ভিডিও বার্তা ঘিরেই পাক খাচ্ছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। পয়লা বৈশাখ কি সেই অর্থে কেবল মাত্র হিন্দুদের? আর এটাই কি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সাল গণনার হিসেব? ভারতের এক্কেবারে পাশের ওপার বাংলা তথা বাংলাদেশের নববর্ষ বিরাট বড় করে উদযাপিত হয়। এই বাংলাদেশ কিন্তু মূলত ইসলাম ধর্মাবলম্বী। পহেলা বৈশাখ যদি সত্যিই হিন্দুদের হতো তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি বাংলাদেশি হিন্দু হিন্দুদের পহেলা বৈশাখকে এত জাঁকজমকপূর্ণভাবে হিন্দু মুসলিম একসাথে বাংলাদেশের কেন পালন করত? তা নিয়েও একটা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে, দিলীপ ঘোষের দাবি মতো বিক্রম সংবৎ কি সত্যিই প্রাচীনতম সাল গণনা ব্যবস্থা?