শুভ নববর্ষ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
তিয়াশা ঘোষ: বৈশাখ মাসের প্রথম দিন যা বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ নতুন বছরের শুভাগমন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই বছর ১৪২৭ সন শেষ করে ১৪২৮ সনে পা দিল নতুন ক্যালেন্ডার। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ-সহ বাঙালি জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্য, জেলা বা শহরগুলিতে এই দিনটি আনন্দ ও উল্লাসের সঙ্গে পালিত হয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৪ বা ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন তথা পয়লা বৈশাখ হিসেবে পালিত হয়। ২০২১ সালে ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় বাংলা নববর্ষ পালন শুরু হয়েছিল। বাংলা সনের প্রবর্তক হিসেবে মোঘল সম্রাট আকবরের নামই বেশি শোনা যায়। তবে অনেকে আবার বলেন, বাংলা পঞ্জিকা উদ্ভাবক ঘটে রাজা শশাঙ্কের হাত ধরে। পরবর্তী কালে যদিও সম্রাট আকবর সেটিকে খাজনা ও রাজস্ব আদায়ের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করেন। আকবরের সময় প্রচলিত ক্যালেন্ডারের নাম ছিল তারিখ-এ-এলাহি। ওই ক্যালেন্ডারে মাসগুলির নামও ছিল অন্য। তবে ওই নাম কীভাবে এই নাম বদলে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ হল, তা স্পষ্ট নয়। ভারতবর্ষে মোঘল শাসনকালে হিজরি পঞ্জিকা প্রচলিত ছিল। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়।
সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বাংলা, কেরল, মণিপুর, নেপাল, ওড়িশ্যা, তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ অর্থাৎ একই সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। আসামে আবার এটি বোহাগ বিহু নামে পরিচিত। পঞ্জাবে নববর্ষ পালিত হয় বৈশাখী নামে ও তামিলনাড়ুতে পুঠান্ডু হিসেবে। কর্নাটকে বিশু নামে পালিত হয়।