করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
তিয়াশা ঘোষ: গতবছর মার্চ মাস থেকে ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। করোনার মতো মারুম ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য লকডাউন ছাড়া কোন উপায় দেখতে পায়নি প্রশাসন। তাই টানা চার থেকে পাঁচ মাস গোটা দেশজুড়ে চলেছিল লকডাউন। অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভালোভাবেই করোনার প্রথম ঢেউকে সামলে উঠেছিল ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশ। যার জন্য বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে সম্মান ও লাভ করেছিল এই দেশ।
এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছিল গোটা দেশে মাস্ক ছাড়াই মানুষ বাজার- দোকান সব জায়গাতেই যাচ্ছিল। কিন্তু মাছ ছাড়া এ জীবন যাপন মানুষের বেশিদিন সহ্য হলো না ২০২১ এর মার্চ মাস থেকেই দেশ জুড়ে চালু হয়ে গেলো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছড়িয়ে গেছে। ছত্রিশগড় লখনৌতে মৃতের পড়ে রয়েছে এতই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে করছেন। শ্মশানে যেন লাইন দিয়ে দিয়ে একের পর এক করোনা য় মৃতের বডি পোড়ানো হচ্ছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হবার জোগাড়। ভয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এই দৃশ্য দেখে।
এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যেখানে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে দেশের তথা প্রত্যেকটা রাজ্যের প্রশাসনের এমন পরিস্থিতিতে বাংলা সহ অসম ও দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই জোরকদমে তাদের প্রচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মিটিং-মিছিল জনসভা পদযাত্রা প্রতিনিয়তই লেগে রয়েছে। যেখানে প্রার্থীদের মুখে তো মাস্কের বালাই নেই, মানা হচ্ছে না কোনো রকম দূরত্ববিধিও। হোলি লাগামছাড়া ভাবে প্রতি নিহত আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ছে, সঙ্গে মৃতের সংখ্যা তো আছেই।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ চলতে পারে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। এই সময় মানুষ অনেক দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। তাই ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউ যতদিন চলবে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৩ লক্ষ।
দেশে ভ্যাক্সিনেশন পর্ব চালু হলেও বেশ জোরকদমে প্রতিটা রাজ্যেই প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও, বর্তমানে যখন করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ভ্যাকসিন এর ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলি বন্ধ হবার যোগার পাওয়া যাচ্ছে না ভ্যাকসিন যার ফলে অনেক মানুষই আরো বেশি আতঙ্কিত হচ্ছেন।