কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে শুরু হয়েছে নারদ মামলার শুনানি
নিউজ ডেস্ক: আজ হাইকোর্টে চলছে নারদ মামলার শুনানি। বৃহত্তর বেঞ্চে সিবিআইয়ের মামলা স্থানান্তর আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু করেছেন ৫ বিচারপতি। শুনানির শুরুতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, আমরা এখানে জামিন খারিজের আবেদন করিনি। আমরা চাই গ্রেপ্তারের পর নিম্ন আদালতে যাবতীয় বিচার পর্বে স্থগিতাদেশ। গোটা প্রক্রিয়াকে কলুষিত বা বিকৃত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করুক হাইকোর্ট। এটা করতে গিয়ে জামিন খারিজ করতে হলে সেটা করুক আদালত।
তিনি আরো জানিয়েছেন, গ্রেফতারির পর যা হয়েছে, দেশ তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে হয়েছে কিনা সন্দেহ। ক্যাবিনেটের সদস্যরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত লজ্জার ও দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা ধর্না দিয়েছেন।
এর পরেই সলিসিটর তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। চার্জশিট কি অনলাইনে পাঠানো হয়েছিল? নাকি সিবিআই আধিকারিকরা আদালতে গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন? অন্য আরেক বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ঠিক কোন সময় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? মানুষ কখন থেকে ঘেরাও শুরু করে সেটা জানাবেন, কারণ এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এরপর তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, সেদিন গোটা ঘটনায় বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। যে মন্ত্রীরা ঘেরাও করেছিলেন তাঁরা শুধু সাধারণ মানুষ নন। তাঁরা সাংবিধানিক পদের অধিকারী। বিচারপতির পক্ষ থেকে আবারও প্রশ্ন আসে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কি জামিনের আবেদন করেছিলেন? করে থাকলে সেই আবেদন কি মঞ্জুর হয়েছিল? ঘেরাও, ধর্নার সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ যোগ বা মদত না থাকলে জামিন বাতিল কেন হবে?
অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে সওয়াল-জবাব চলছে জোর কদমে। রায় কার পক্ষে থাকবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।