আইনি পরিষেবা দেওয়ার নাম করে, গেস্ট হাউসে ডেকে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ

0 0
Read Time:4 Minute, 37 Second

নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানার টাকির পৌরসভার এলাকার ঘটনা।

বছর ১৭,এর নাবালিকা বাড়ি হলদিয়া দুর্গা চক্ থানা এলাকায়, ঐ নাবালিকার বিয়ে হয়েছিল হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর পঁচিশের বাপ্পা অধিকারী সঙ্গে। এদের বিয়ে হয়েছিল ভালোবাসা করে।

বিয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি না পারায় নাবালিকা বধুর বাবা হলদিয়া দূরগা চক্ থানায় অপহরণের মামলা করে জামাই বাপ্পা অধিকারীর বিরুদ্ধে। তার বাবার অভিযোগ, আমার নাবালিকা মেয়েকে রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা বছর ২৫ এর যুবক বাপ্পা অধিকারী অপহরণ করে রেখেছে।

বাবার এই স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় মেনে নিতে পারেনি ওই বধু, তারপর স্বামীর বন্ধু বসিরহাট কোর্টের মুহুরি তাকে আইনি সহায়তা দেয়ার নাম করে পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু পিছনে ছিল অন্য ফন্দি, গত ২২ মে নাবালিকাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে উকিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকি গেস্ট হাউসে নিয়ে আসে, সেখানে আরো দুজন ব্যক্তি ওই গেস্ট হাউসের ঘরে ছিলেন তারপর এই নাবালিকা বধুর উপর অত্যাচার শুরু করে। কিছু সময় পর ওই বধু গেস্ট হাউসের জানালা দিয়ে লাফাতে গেলে তখনই তারা ওই বধূকে ধরে ফেলে তারপর তার ওপর চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।

সেখানেই ওই বধুকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওই বধুর, এই ঘটনা যাতে প্রশাসনকে না জানায় তারজন্য ওই যুবক ওই বধুকে মুখ খুলতে বারণ করে, যদি মুখ খোলে তার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয় হয় বলে অভিযোগ।

গতকাল বুধবার হাসনাবাদ থানায় মোশারফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা বধু, পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোশারফ মন্ডল কে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে, হাসনাবাদ থানার পুলিশ ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত যুবকে আজ বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে হয়েছে।

তার পাশাপাশি ওই নাবালিকা বধুর মেডিকেল পরীক্ষা করার পর, বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবে বলে জানা গেছে।

এর পিছনে স্বামীর কোন হাত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ, কারণ ওই নাবালিকা কে গত একমাস আগে হলদিয়া থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ নাবালিকা বাবার। ইতিমধ্যে দুর্গাচক থানায় একটি অপহরণের মামলা করেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।

নির্যাতিতা বলেন, আমার স্বামীর কোনো দোষ নেই আমি নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার বাপ্পাকে আমি বিয়ে করি। আমরা সুখে ছিলাম আমাদের বিয়ে আমার বাবা মানতে চায়নি তাই বাবা থানায় কেস করেছিল। সেই অভিযোগে আমার স্বামীকে যাতে পুলিশ না ধরে সেই জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম,আর সেখানেই ঘটে এই বিপত্তি আমি মুশারফের কঠোরতম শাস্তি চাই।

ধৃত মোশারফ মোল্লাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক, অভিযুক্তকে তিন দিনের জন্য পুলিশ কাস্টডিতে থাকার অনুমতি দিয়েছে, ৩৬৩ থেকে ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধর্ষণ ও অপহরণের মতন অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!