১২ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকেরা

0 0
Read Time:3 Minute, 51 Second

নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের শংকরপুর মৎস্য বন্দরের প্রায় তিন শতাধিক ট্রলার মালিক রা সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল। তার সাথে প্রায় ৩ হাজার মৎস্যজীবীরা এই ধর্মঘটে সামিল হতে চলেছেন। আর মরশুমের প্রথমে এমন মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার ধর্মঘট হলে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের ইলিশ পমপ্লেট সহ নোনা মাছের বাজারে। শংকরপুর ফিশারমেন এন্ড সিস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মৎস্যজীবীদের ড্রেজিং জরাজীর্ণ যেটি সহ প্রায় 12 দফা সমস্যা তৈরি হয়েছে যার ফলে মৎস্যজীবীরা মৎস্য আরোহণের ক্ষেত্রে প্রভূত বিপন্ন হতে বসেছে। সরকার পক্ষকে বারেবারে জানিয়ে কোনো সুরাহা হয় নি। এরপর সমাধান না হলে মৎস্যজীবী থেকে ট্রলারমালিকরা মৎস্য শিকার বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন।

গত একমাস আগে ইয়াশ এর প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উপকূলবর্তী এলাকা। যার প্রভাব পড়েছিল সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্য বন্দর গুলিতে । তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শংকরপুর মৎস্য বন্দর।

মৎস্যজীবীদের দাবি…

১- শংকরপুর মৎস্য বন্দরের দীঘা মোহনার খাল ড্রেজিং করা।

২- অবিলম্বে বন্দরের সামনে থাকা মান তৈরি করা , না হলে ভবিষ্যতে এই মৎস্য বন্দর গুলির অস্তিত্ব রক্ষা করা দায় হয়ে উঠবে।

৩- নতুন করে যেটি তৈরি ও সম্প্রসারণ।

৪-মৎস্যজীবীদের জন্য প্যাকিং রুম সহ রিপেয়ারিং এর ব্যবস্থা করা।

৫- শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা।

৬- যেটি গুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা।

৭- বন্দরের বরফ সরবরাহ ঠিক রাখতে বন্ধ বরফ কল গুলিকে সচল করতে হবে অবিলম্বে।

৮- বন্দরে জাল রিপেয়ারিং এর জন্য নেই কোনো ছাউনি তার ব্যবস্থা করা।

৯- পুরো বন্দর আগাছা ও জল জমে ব্যাপকহারে দূষণ ছড়াতে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা।

১০- বন্দরের মধ্যে থাকা পেট্রলপাম গুলিকে সচল করা এবং ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।

১১- বন্দর গুলিতে মৎস্যজীবীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা চালু করা।

১২- স্টাফ কোয়ার্টার তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে।

এ ছাড়াও একাধিক দাবিতে আন্দোলনের পথে নামতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের এই সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে মৎস্য মন্ত্রী বলেন ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়েছে । পানীয় জল থেকে বিদ্যুতের সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। নেটবিদ ড্রেজিং সহ জেটির অন্যান্য সমস্যা।

এখন এটাই দেখার যে এই মৎস্য বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়িত হয় নাকি আন্দোলনের পথে হাঁটেন মৎস্যজীবীরা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!