বিজেপি ও সিপিএম থেকে প্রায় শ’ তিনেক কর্মী সমর্থক যোগদান করলেন তৃণমূলে
নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত ও মিনাখায় বিজেপি সিপিএম মিছিল করে পাচ শতাধিক তৃণমূলে যোগদান। শাসকদলের উন্নয়নের শরিক হতে যোগদান বলে জানান বিজেপি কর্মীরা, তার পাশাপাশি মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ তাদের এই বিপদের দিনে পার্টির কর্মী দের পাশে এসে দাঁড়ায়নি দল তাই তারা এই দল বদল করতে বাধ্য হলেন।
বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর বিধানসভার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ও সিপিএম থেকে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক মিছিল করে তৃণমূলে যোগদান করলেন, এদেরমধ্যে মতুয়া সম্প্রদায় মানুষের দেখা পাওয়া গেল বেশি। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও স্বরূপনগরের বিধায়ক বিনা মন্ডল, তৃণমূল নেতা কনেক মন্ডল, এদিন বিজেপি নেতা বিনোদ দাস সিপিএম নেতা মহিউদ্দিন সরদার সহ তিন শতাধিক তৃণমূলে যোগদান করেন।
বিজেপি সিপিএম থেকে আসা নেতারা জানান, সাধারণ মানুষের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস আছে। তৃণমূলে না আসলে মানুষের কাজ করা যাবে না পাশাপাশি যেভাবে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলার উন্নয়ন করছে তাতে দিদির পাশে থাকতে হবে। তাই আজ তৃনমূলে যোগদান করলাম সরুপনগর বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি আরো বৃদ্ধি পেল।
স্বরূপনগরের বিধায়ীকা বিনা মন্ডল বলেন আজ বিজেপি সিপিএম থেকে আড়ায়শোর উপরে নেতা কর্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শামিল হয়েছেন। তারাযানে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া এ রাজ্যের কোন কেউ উন্নয়ন করতে পারবে না, তাই আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থেকে এসে আমাদের দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
অন্যদিকে মিনাখা ব্লকের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, মিনাখাঁ ব্লক সভাপতি আয়ুব হোসেন গাজি তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কালাম মল্লিক মিনাখা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ উজ্জ্বল মাইতির উপস্থিতিতে আজ সোমবার সকাল নটায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিলেন।
বিজেপির তুষার নস্কর, জেলা কমিটির সদস্য বিজেপি বামনপুকুর অঞ্চলের ৮৬ নম্বর বুথ সভাপতি কালু কৃঞ্চ মণ্ডল, সমীর সরকার, অঞ্চল সভাপতি এসটি এসসি ২৫০ জন পরিবার সোমবার মিনাখা ব্লকের বামুনপুকুর পার্টি অফিসে তৃণমূল নেতারা বিজেপির কর্মী সর্মথকদের হাতে দলিও পতাকা তুলে দিলেন।
তারা জানান, মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের শামিল হতে তারা এ যোগদান করলেন, পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন যাওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্ব বা বিজেপির কোন বড় নেতা নিচুতলার কর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না, যার কারণে তারা বিজেপি দল বাধ্য হয়ে ত্যাগ করলেন।