নেই বিশ্বকবি অথবা রাধাকৃষ্ণন, উত্তরপ্রদেশের সিলেবাস নিয়ে বিতর্ক
নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথের রচিত জাতীয় সংগীতের সুরের সঙ্গে আপামর ভারতবাসী জড়িত কিংবা শিক্ষক দিবসে যাকে স্মরণ করে ভারতবাসী সেই রাধাকৃষ্ণন বাদ পড়লেন সিলেবাস থেকে। উল্লেখ্য এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের সিলেবাস থেকে। NCMERT র নতুন নির্দেশিকা অনুসারে বইতে নতুন যোগ করা হয়েছে বাবা রামদেবের যোগ বিষয়ক শিক্ষা ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর আদিত্যনাথের ধর্ম বিষয়ক কয়েকটি বই। দর্শনের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই বইগুলি।
এদিকে পুরোনো বই গুলিতে কবিগুরুর ছুটি গল্প অবলম্বনে হোমকামিং গল্প ও সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে একটি বই ছিল, ছিল শেলী মূলক রাজ আনন্দ , আর কে নারায়ন এর অনবদ্য কিছু সৃষ্টি। সব কিছু কাটছাট করে নতুন ভাবে সংযোজিত হয়েছে সিলেবাস। এই নিয়ে সমালোচনা করেছেন বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ তারা জানিয়েছেন ছেলে মেয়েরা রবীন্দ্রনাথ না পড়লে কি শিখবে ভারতীয় সংস্কৃতি কি বুঝবে মূলক রাজ আনন্দ বা রাধাকৃষ্ণন না জানলে। এ বিষয়ে পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন বিজেপি বাংলার মানুষের কালচার বোঝে না। প্রধান মন্ত্রী বাংলায় এসে মেকি কবিতা বলে গেছেন তারা কেউ বিশ্বকবির মর্ম বোঝেন না। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছে যোগী রাজ্য। কিভাবে এই সমস্ত কালজয়ী পাঠ্য পুস্তক বাদ দিয়ে যোগশিক্ষা কে পাঠক্রমের মধ্যমনি করা হলো উঠছে প্রশ্ন।