শহীদ স্মরণে ভার্চুয়ালি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রাজ্যের রাজনীতিতে এক অভিশপ্ত দিন। জাতীয় কংগ্রেসের তরফে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ও আন্দোলনের আয়োজন করা হয়। যাতে নেতৃত্ব দেন আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন অভিযানের প্রাক্কালে ১৩ জন শহীদ হন, সেই শহীদের রক্তক্ষরণ স্মরণ করে প্রতি বছর যথোচিত মর্যাদায় পালিত হয় শহীদ দিবস। যদিও করোনা সতর্কতার কথা মাথায় রেখে এ বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হচ্ছে না শহীদ দিবস।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ অনুযায়ী এবার ভার্চুয়ালি জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য।এদিন বেলা ১২ টায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সরাসরি ভাষণ দেবেন মমতা।শহীদদের উপর নৃশংস ও বর্বরোচিত আক্রমণের কথা তুলে ধরবেন জন সমক্ষে। সাথে সাথে বর্তমান সরকারের নানা কর্মসূচি ও সফলতা সম্পর্কে মানুষকে অবগত করবেন।
উল্লেখ্য, পরিকল্পনা মাফিক দিল্লি, ত্রিপুরা, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, অসম, মনিপুর প্রভৃতি রাজ্যে দেখানো হবে এই ভাষণ। হিন্দিতেও বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সাব টাইটেলের দ্বারা যে কোনো ভাষার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এই বার্তা। উপস্থিত থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মত নেতারা। এবছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় ছোট জমায়েতের মধ্যে দিয়ে পালিত হবে ২১ সে জুলাই। ধর্মতলা মোড়ে জারি রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। এদিকে পশ্চিম বঙ্গের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষেও এদিন শহীদ দিবস পালন করা হবে যদিও ভোট পরবর্তী হিংসার নিরিখে তারা এই দিনটি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। এখন ২০২১ এর ২১ জুলাই কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হলো সেটাই দেখার।