আজ থেকে রাজ্যে শুরু হলে দুয়ারের সরকার প্রকল্প

0 0
Read Time:4 Minute, 22 Second

নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। সারা রাজ্যের সাথে পুরুলিয়া জেলাতেও বিশেষ শিবির করে চলবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এবারের দুয়ারে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প। নিবার্চনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আবার ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি উপজাতি মহিলাদের ১০০০টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০টাকা করে দেওয়া হবে।তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মহিলাদের জন্য পূর্বঘোষিত প্রকল্প আজ থেকে শুরু করতে চলেছে।লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে এই প্রকল্প দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে আজ থেকে সারা রাজ্যে শুরু হতে চলেছে।কিন্তু এই প্রকল্পে বাদ সেজেছে সাস্থ্য সাথী প্রকল্প।সাস্থ্য সাথি কার্ড না থাকলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পর সুবিধা পাবেন না মহিলারা। সে ক্ষেত্রে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে সাস্থ্য সাথী কার্ড করার জন্যও বলা হয়েছে।আবার আগের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময় অনেকেই সাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেও অনেকে কার্ড পাননি।

এরকমই সমস্যা দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নাম্বার ব্লকের ইলু -জার্গো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।এই এলাকায় অনেকেরই যে সাস্থ্য সাথী কার্ড নেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন ইলু-জারগো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ মাহাতো।

ইলু জার্গো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ যে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে তাতে ইলু জারগো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু মহিলা লক্ষির ভান্ডার প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে। কারন এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রয়োজন।কিন্তূ অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই ।বিষয়টি নিয়ে ঝালদা ব্লক প্রশাসন কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলেও জানান ইলু জারগো গ্রাম পঞ্চায়েতেরপ্রধান প্রকাশ মাহাতো।

এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুরে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সাধারন সম্পাদক শঙ্কর মাহাতো বলেন শুধু ইলু জারগো এলাকা নয়,গোটা পঞ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখন এই রকম। ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রকল্প শুরু করেছিল। বলেছিল ১০কোটি লোককে সাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হবে,কিন্তু আদতে পেয়েছেন কতজন? যা তথ্য আছে পাঁচ শতাং লোক পেয়েছে। আবার এখানে বলা হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার মহিলাদের টাকা দেওয়া হবে। তারাই ওই ফর্মটা ফিলাপ করতে পারবে যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে। তবে পাবে কারা? এটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝানো হচ্ছে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে ঝালদার মহকুমা শাসক রীতম ঝা ফোনে জানান।স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও যা যা ডকুমেন্ট তারা দিতে পারছে সেগুলিই যাচাই করে ফর্ম জমা নেওয়া হবে। এবং দুয়ারে সরকার এর ক্যাম্পেই ফর্ম পাওয়া যাবে।ফর্ম ফিলাফ থেকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে এখানে বঞ্চিত থাকার কোনো প্রশ্ন নেই।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!