কুমিল্লার ঘটনায় ব্রাত্য বসুকে খোঁচা শমীক ভট্টাচার্য-র
নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যে তাণ্ডব চলেছে, তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশে। পদ্মা পেরিয়ে এখন ভারতেও ঢুকে পড়েছে এই উত্তাপের আঁচ। বিদেশ মন্ত্রক থেকে শুরু করে কূটনীতিবিদ, প্রত্যেকে সজাগ নজর রাখছেন বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাণ্ডবে জড়িতরা যে ধর্মেরই হোক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। বাংলাদেশ পুলিশও কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এদিকে কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে পদ্মার এপারেও রাজনীতি সরগরম। তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবিরের নেতারাই নিজের মতো করে, ‘পার্টিলাইনের’ সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইসকনের দুজন সন্ন্যাসী মৃত। আজ আবার একজনের মৃতদেহ মিলেছে। রামকৃষ্ণ মিশন আক্রান্ত হয়েছে। বালুরঘাটের ওপারে জয়পুরহাট থেকে আক্রমণের শুরু হয়েছে| বসিরহাটের ওপারে সাতক্ষীরা, বনগাঁর ওপারে খুলনা,যশোর সর্বত্র আক্রমণ হয়েছে।” এদিকে বাংলাদেশের নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করছেন ব্রাত্য বসু। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘কে কোথায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবে এ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।’ তার পর ব্রাত্য যোগ করেন, “উপমহাদেশে ধর্ম ও সম্প্রদায়- এগুলি খুব সংবেদনশীল বিষয়। সমস্ত দেশের উচিত সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। আমাদের দেশে যা বারবার ব্যাহত হয়েছে মোদী জামানায়।” সেই প্রসঙ্গে আজ শমীক বাবু বলেন, “ব্রাত্য বসু প্রতিভাবান নাট্যকার। তাঁর প্রতিভাকে সম্মান জানিয়ে বলছি, তাঁর পূর্বপুরুষ কিন্তু ঢাকার মাটিতে দাঁড়িয়ে কোনও নাট্যকর্ম উপস্থাপন করতে পারেননি। ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন কেন ওনার পূর্বপুরুষকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল।”