অধীর চৌধুরী ফোঁটা নিলেন রেনুকা দেবীর কাছে

0 0
Read Time:2 Minute, 41 Second

নিউজ ডেস্ক: এ সম্পর্কে রক্তের টানের বাধ্যবাধ্যকতা নেই। তবু সমস্ত আত্মীয়তার বন্ধনের থেকেও যে এই সম্পর্ক বড় তা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন বহরমপুরের রেণুকা মাড্ডি। তথাকথিত অনাত্মীয়, তবু আত্মীয়ের থেকেও বড়। তাই তো ভাইফোঁটার দিনে বোনের ভালোবাসা সম্মান জানাতে নিজেই হাজির হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কী যোগসূত্র অধীর-রেণুকার জানতে হলে ফিরতে হবে ২০১৯ সালে। মুর্শিদাবাদের তথাকথিত রবিনহুড বলে খ্যাত অধীরের ভক্ত রেণুকা মাড্ডি। ছেলের মৃত্যুর মতো বড় আঘাতের সামনেও পিছপা হননি কর্তব্য থেকে। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জেতাতে শোক-আঘাত ভুলে সদ্য পুত্র হারা মা ছুটে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। ছেলের মৃতদেহ মর্গে রেখে প্রিয় নেতার সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলের ভোটের লাইনে। অধীর ভক্ত রেণুকা মাড্ডি সেদিন যে সাহসীকতা, মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা ভোটের বাজারে উদাহরণ হিসাবেই থাকবে। ২০১৯ সালে বহরমপুরে ভোটের দিনই নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হন রেণুকার ছোট ছেলে। সারাজীবনের মতো নিজের সন্তানকে হারানোর দুঃখ সামলেও পছন্দের নেতাকে ভোট দিতে পৌঁছান তিনি। ভোটদান শেষে মর্গ থেকে ছেলের দেহ নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তিনি।
নেতাও অবশ্য মুখ ফেরাননি। একদিন পরে পুরো ঘটনার কথা জানতে পেরে রেণুকার কাছে ছুটে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের চালতিয়া এলাকার বাসিন্দা আদিবাসী রেণুকা মাড্ডির বাড়ি গিয়ে সান্ত্বনা দেন তাঁকে। সেদিন থেকেই ভাই বোনের সম্পর্কের সুতোয় গাঁথা হয়ে যায় অধীর-রেণুকার সম্পর্ক। ভাইফোঁটার দিন প্রতিবছর দিদির বাড়ি হাজির হন অধীর। একদিনের জন্যেও ম্লান হয়নি সে সম্পর্ক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!