সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী, কলকাতার ইতিহাসে সেরা মেয়র – একনজরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক: আচমকাই না ফেরার দেশে সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বড্ড ভালো মানুষ ছিলেন। মিশে ছিলেন জনসাধারণের মধ্যে। সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। বাংলার রাজনীতিতে তিনি ছিলেন পথ প্রদর্শক।ছিলেন কলকাতার মেয়র। যার হাসিখুশি মুখে বাংলার রাজনৈতিক ঐতিহ্য বজায় ছিল। একনজরে দেখে নিন তাঁর জীবনী—
১৯৪৬ সালে তার জন্ম। বজবজের সারেঙ্গাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ছয়ের দশকে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে অ্যানথ্রোপলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কলেজ জীবনের শেষ থেকেই সিনিয়র প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছিলেন স্নাতকোত্তর। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বাড়িতে কেউ অবশ্য রাজনীতির আঙিনায় ছিলেন না।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় ১৯৬০-এর দশকে ছাত্রনেতা হিসেবে বাংলা কংগ্রেসে হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ছাত্র পরিষদের সভাপতিও ছিলেন। ১৯৭২ সালে, ২৬ বছর বয়সে, তিনি সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। বিতর্কিত জরুরি অবস্থার সময় সুব্রত মুখার্জী রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার মেয়র ছিলেন। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুব্রতকে তিন মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হয়েছিলেন। রাজ্যে যখন বাম সরকার ছিল, তখন তৃণমূল জিতেছিল কলকাতা পুরনিগমে। প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য কলকাতার ইতিহাসে তাঁকে অন্যতম সেরা মেয়র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীকালে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল ছেড়েছিলেন সুব্রত। নয়া মঞ্চ গড়েছিলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ‘ঘড়ি’ চিহ্নে লড়েছিলেন। তিনি জিতলেও হেরে গিয়েছিল জোট দল। কলকাতার মেয়র হননি আর। ২০০৮ সালে সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনামঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে (২০১০ সালে) ফের তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তারপর থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ঘাসফুল শিবিরের ছিলেন। ২০১০ সালে তৃণমূলের দলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের সময় তাঁকে মন্ত্রী করেছিলেন মমতা।