এই নিয়ে দ্বিতীয়বার – জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন ‘ব্যাকফুটে’ যাওয়া মোদী
নিউজ ডেস্ক: দু’টি ভিন্ন ঘটনা। একটি কোভিড ১৯, অন্যটি কৃষি আইন। দ্বিতীয় ঘটনাটি শুক্রবারই ঘটেছে। মোদী সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা। আর যে ঘোষণা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। যার প্রেক্ষিতে তাঁকে বলতে হয়েছে, “দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ হৃদয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। কৃষকদের আমরা বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় কোনও ত্রুটি ছিল।” এই ঘোষণার পরই বিরোধীরা সরব— কৃষকদের জয়, ঔদ্ধত্যের পরাজয়।
মাত্র দু’টি শব্দ— ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এই শব্দ দু’টি শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। আর এই শব্দ দু’টিকেই বিরোধীরা হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন। কেউ বলেছেন, ঔদ্ধত্যের বিনাশ হল। কেউ আবার বলেছেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী— এই দীর্ঘ সফরে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন মোদী। গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তও চলে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সে সময়ও মোদীর ক্ষমা চাওয়ার জন্য জোরালো দাবি উঠেছিল। কিন্তু তিনি চাননি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পর বলেছিলেন, ‘‘যদি কোনও অপরাধ করে থাকি তা হলে আমাকে ক্ষমা করা উচিত নয়।’’ তখনও তিনি নিজের ক্ষমা না চাওয়ার সপক্ষে জোর গলায় বলেছিলেন, ‘‘যা বলার ছিল তাই বলে দিয়েছি। জনতার আদালত থেকে আমি স্বচ্ছ ভাবে বেরিয়ে এসেছি।’’
প্রথম ঘটনাটি হল, ২০২০-র মার্চে কোভিড সংক্রমণের জন্য লকডাউনের ঘোষণা। যার জেরে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদীকে। শেষমেশ তাঁকে বলতে হয়েছিল, ‘‘এই কঠিন পদক্ষেপ আপনাদের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে এনেছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। জানি আপনাদের মধ্যে কিছু মানুষ আমার এই সিদ্ধান্তে অখুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হত।’’ আর দ্বিতীয় ঘটনাটি আজ।