ভোট নয় প্রহসন হয়েছে – আগরতলায় ফের নির্বাচনের দাবি সিপিএমের
নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই আগরতলায় নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলল রাজ্য সিপিএম। সিপিএমের দাবি, আগরতলার প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে ভোটগ্রহণ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে ত্রিপুরায়। আর তাতে মদত দিয়েছে রাজ্যের বিজেপিশাসিত সরকার।
রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বামেরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এখন বিরোধী দলনেতা। তবে সম্প্রতি পুরভোটে এ রাজ্যের ৭টি পুর এলাকার ১১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, ‘‘গত ৪৪ মাসে ত্রিপুরায় বিজেপি এবং আইপিএফটি সরকার আসার পর থেকেই আর সেখানে গণতন্ত্র নেই। সংবিধান অচল। এমনকি নির্বাচনকেও সরকার প্রহসনে পরিণত করেছে।’’ আগরতলা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর এলাকার ২২২টি আসনে ভোট ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। হিংসা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
সিপিএমের অভিযোগ, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তাদের দলের পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি, বুথের ভিতরে সাংবাদিকদের ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে ফোন করেছিলেন। অভিযোগ, সেই ফোনও ধরা হয়নি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘রাজ্যের বিজেপি সরকার পুরভোটে দিনদুপুরে গণতন্ত্রের অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে। ভোটের মতো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে ওরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বুধবার রাতে আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি আর্জি জানাই। আজ তার শুনানি ছিল। তবে শুনানি চালু হওয়ার আগেই এখানে ভোট শুরু হয়ে যায়। আদালত সেই শুনানি চলাকালীন দু’টি নির্দেশ দেয়। এক, বৈধ অনুমতিপত্র থাকা সমস্ত সাংবাদিককে বুথে ঢুকতে দিতে হবে। এবং দুই, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার কিছুই মানা হয়নি।’’