লড়াই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয়, লড়াই গণতন্ত্রের
নিউজ ডেস্ক: ‘কথা কম, কাজ বেশি করতে ভালোবাসি।’ বুধবার মুম্বইয়ে বিশিষ্টজনেদের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই বক্তব্য শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় লগ্নি টানতে এই মুহূর্তে বাণিজ্য নগরীতে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের সাফল্য। জাভেদ আখতার, পবন বর্মা, মহেশ ভাট, মেধা পাটেকর, স্বরা ভাস্কর, আদিতি মিত্তল, রিচা চাড্ডার মতো বিশিষ্টজনেদের উপস্থিতিতে মমতা এদিন বলেন, ‘মুম্বই-কলকাতার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।’ পাশাপাশি জবাব দিলেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হতে পারেন, তা নিয়েও। বাণিজ্য নগরীর এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, ‘কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?’ এই প্রশ্নের জবাবে অকপট বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লড়াইটা কেবল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয়। এটা গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই। সময় আসলে এমনিতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কে বসবেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।’ নিছক রসিকতার ছলেই এদিন প্রশ্নকর্তাকে মমতা পালটা বলেন, ‘আপনি চাইলে আপনিও বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।’ উদাহরণ স্বরূপ তিনি তুলে ধরেন ব্রাত্য বসুর কথা। মমতা বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একজন জনপ্রিয় থিয়েটার আর্টিস্ট। তারপরও তিনি রাজনীতির ময়দানে স্বচ্ছন্দ।’ বাংলায় ধর্মের বিভাজন হয় না। বাংলায় সব ধর্ম সমান সমান।’ নাগরিক সমাজকেই আগামীদিনের কথা ভাবতে হবে। পেশীশক্তি দিয়ে দেশ চালানো যায় না। অগণতান্ত্রিক ভাবে দেশ চালানো যায় না। আমরা BJP-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ব। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। BJP আমাদের কখনও দমিয়ে রাখতে পারবে না।