শহিদ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো জেলা অবসর প্রাপ্ত সৈনিক বোর্ডের তরফ থেকে

0 0
Read Time:3 Minute, 57 Second

নিউজ ডেস্ক : একাত্তরের ভারত – পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে বিজয় দিবসের ৫০তম সুর্বন জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে হিলির যুদ্ধ স্মারকে অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোম্পানীর কমান্ডার সহ জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি প্রাক্তন সেনানী থেকে আম জনতা।

রবিবার শহিদ বেদি প্রাঙ্গণে শহিদ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা অবসর প্রাপ্ত সৈনিক বোর্ড । অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ২০২ মাউন্টেন ব্রিগেডের বিন্নাগুড়ি সেক্টরের সেনা আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার এইচ এস মাভি।দক্ষিন দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক আয়েষারানী 1সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডানন্ট সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন ।এদিন প্রতি বছরের মতো নিয়ম মেনে পালন করা হয় শহিদ দিবস । কোভিড পরিস্থিতি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানটি করা হয় । অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২ মাউন্টেন ব্রিগেডের বিন্নাগুড়ি সেক্টরের সেনা আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার এইচ এস মাভি শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন । তারপর একে একে অনান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের তরফ থেকে অমর বীর শহিদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরাবতা পালন করে স্যালুট জানানো হয় আজ ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয় ভারতীয় সেনা । পাকিস্তানের খান সেনাদের বিরুদ্ধে মূল যুদ্ধটি হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তে । ভারত বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্তে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার ভারতীয় সেনা । টানা বেশ কিছুদিন ধরে চলেছিল সেই যুদ্ধ । সেখানেই পাকিস্তানের আচমকা হামলায় একসঙ্গে শহিদ হয় ৪০০বেশি ভারতীয় সেনা । পরবর্তীতে বদলা নিতে পালটা আঘাত হেনে কয়েক হাজার পাক-সেনাকে নিহত করে ভারতীয় সেনা । এই ১২ ডিসেম্বর হিলি সেক্টর যুদ্ধে জয়ী হয়ে পাক অধুনা বাংলাদেশ ( বর্তমান) হিলি কব্জা নিয়ে ঢাকার দিকে এগিয়ে যায় । ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনা ভারতীয় সেনার কাছে ঢাকাতে পাক সেনা পরাজয় স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ । অসম্ভব মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মসংযমের নিদর্শন রেখে ঐতিহাসিক যুদ্ধের মুখোমুখী হয়েছিলেন।দেশের সম্মানে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সৈনিকদের কৃতজ্ঞ জাতি কখনও বিস্মৃত হবে না। যুদ্ধে যাঁরা জীবনদান করেছেন, সেইসব বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও এই সেনানীদের বীরত্ব ও আত্মবলিদান প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে প্রেরণাদায়ক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!