তোলা তুলতে এসে জনগনের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

0 0
Read Time:3 Minute, 13 Second

নিউজ ডেস্ক :- একদিকে মাত্রাতিরিক্ত পেট্রোপন্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাজেহাল গাড়ি চালোকেরা। তার মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা পুলিশের ‌প্রতিনিয়ত তোলাবাজি।গাড়ি পিছু দিতে হবে ২০০ টাকা, থাকতে হবে মান্থলি, তবেই মিলবে থানার ছাড়পত্র। এসব থাকলেই অনায়াসে নিয়ম ভেঙে নিয়ে যেতে পারবেন ওভারলোড বালি, পাথর বোঝাই করা লরি। নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগআঁচড়া ভালুকা রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা এই সড়কের। বেশ কিছুদিন আগে নদীয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিলো। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিন সকালে আট-দশটা ওভারলোডেড বালির গাড়ি স্থানীয় বাগদেবী তলা ব্রিজের উপর চলাচল করে। যথেষ্ট বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে, রাস্তা এবং রাস্তার পাশাপাশি দোকান ও বাড়িঘর গুলি। ভাড়ি যান চলাচলে কেঁপে ওঠে ব্রিজ সংলগ্ন বাড়িঘর গুলি। শুধুমাত্র স্থানীয় থানার মান্থলি থাকার কারণে পুলিশের উপস্থিতিতেই চলছে রমরমা ওভারলোড বালির গাড়ির যাতায়াত। মঙ্গলবার সকালে, স্থানীয় ইমারতি দ্রব্য বিক্রেতা রাধেশ্যাম ঘোষের ২৪০ সিএফটি বালি ডাউনলোড করার সময় পুলিশ এসে ২০০ টাকা চায়, তা দিতে অস্বীকার করলে, কর্তব্যরত শান্তিপুর থানার পুলিশ কাগজপত্র কেরে মারধর শুরু করে দেয়। ঘটনায় খবর জানাজানি হতেই এলাকাবাসীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ গাড়ীটি। এ বিষয়ে গাড়ির চালক হাবিব শেখ জানায়, নিয়ম অনুযায়ী আন্ডার লোড ২৪০ সিএফটি বালি পরিবহন করার জন্য থানার মান্থলি করাইনি। তাই আজ আমাকে মারধোর করা হলো। কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হলো।‌ স্থানীয় বাসিন্দা মিলন ঘোষ জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত গ্রাম শহরে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছেন, অথচ পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা সত্যিই প্রশ্ন উঠছে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মমতা ধারা জানান, প্রশাসনিক বিষয় বলেই পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ করেনি।‌

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!