রেল দুর্ঘটনায় পরিবারকে পাশে পেলেন আহত
নিউজ ডেস্ক:রেল দুর্ঘটনায় পরিবারকে পাশে পেলেন আহত সেইসময় নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মাইকে আজানের বদলে ভেসে এল ঘোষণা। আর সেই ঘোষণা শুনেই মুহুর্তে দুশ্চিন্তার অন্ধকার নেমে এল অসমের ধওলা এলাকার স্থানীয় এই পরিবারে। কারণ ঘোষণাটি যে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে কেন্দ্র করেই। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির দোমোহানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে শোনার পর থেকেই একটা উত্কণ্ঠা ছিল। কারণ বাড়ির ছেলেরও যে চলতি সপ্তাহেই বাড়ি ফেরার কথা। আর ওইদিন থেকে ছেলেকে ফোনেও পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।ফলে চিন্তাটা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছিল দুশ্চিন্তায়। তবু দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে যে তাঁদের ছেলে থাকতে পারে, এতটা দুঃসংবাদও বোধহয় আশা করেননি তাঁরা। স্থানীয় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মাইকে খবর ঘোষণা করা হলে ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনায় সফিকুল আলির জখম হওয়ার কথা জানতে পারে তাঁর পরিবার। খবর পেয়ে শনিবারই জলপাইগুড়ি স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছেছেন সফিকুলের দাদা মফিদুল ইসলাম।
জানা গিয়েছে, বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন সফিকুল। ময়নাগুড়ির দোমোহানিতে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। জখম অবস্থায় সফিকুলকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর কাছে মোবাইল না থাকায় বাড়িতে খবর দিতে পারেননি তিনি। তাই সফিকুলের বাড়িতে খবর দেওয়ার উদ্যোগ নেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।ভারতীয় ডাকবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় পোস্টঅফিস থেকে ধওলা এলাকায় পিওন পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ডাককর্মী সফিকুলের বাড়ি খুঁজে না পেলে তত্পর হয় স্থানীয় মসজিদ কমিটি। এরপরেই মসজিদ থেকে সফিকুলের খবর মাইকে ঘোষণা করা হয়। গোটা ঘটনা রেলের পক্ষ থেকে টুইট করা হয় ।
সফিকুলের পরিবারের পাশে রয়েছে অসম পুলিশও। অন্যদিকে, দোমোহানিতে ট্রেন দুর্ঘটনাকাণ্ডে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের চালকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালককে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফরেন্সিক দলও।