জাতীয় কর্মসমিতিতে কেষ্টকে নিলেন দিদি

0 0
Read Time:2 Minute, 21 Second

নিউজ ডেস্ক তিনি বারবার একটাই কথা বলেন। আমি মন্ত্রী হব না, সাংসদ হব না, বিধায়ক এমনকি কাউন্সিলরও নয়। আমি শুধু সংগঠনে থাকব। সংগঠনকে ধ্যান-জ্ঞান করে ফেলে সেই তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে মমতা ২০ জনের নামের তালিকা ঘোষণা করেছেন। তাতে রয়েছেন অনুব্রত। নিরলস ভাবে সংগঠন করে যাওয়ার যে নিষ্ঠা অনুব্রত দেখিয়েছেন, এদিন দিদি তারই মর্যাদা দিয়েছেন। এমনিতে তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগের শেষ নেই। বীরভূমে তৃণমূলের সন্ত্রাস, ভোট করতে না দেওয়া—ইত্যাদি নিয়ে হাজারো অভিযোগ তাঁর নাকি এমনই দাপট যে, লোকসভা বা বিধানসভা ভোট হলে দিনের দিন তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে কমিশন। তবে দিদি সবসময়েই অনুব্রতর প্রতি স্নেহশীল। সে তিনি যতই সমালোচিত হোন না কেন। অনুব্রতও বলেন, তিনি মমতা ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। এমনিতে বীরভূমের বাইরে তাঁর সাংগঠনিক কাজ বলতে বোলপুর লোকসভার মধ্যে থাকা পূর্ব বর্ধমান জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র।

অনুব্রত জেলার নেতা হলেও তাঁর বাংলাজুড়ে পরিচিতি রয়েছে। দলের কাছে তিনি যেমন ইস্পাত কঠিন সংগঠন গড়ার মডেল তেমনই বিরোধীদের কাছে চক্ষুশূল। এদিন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতে অনুব্রতকে নেওয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘ভোটের আগেই অনুব্রতবাবুর জেলায় সাঁইথিয়া ও সিউড়ি পুরসভা দখল করে ফেলেছে তৃণমূল। দিদিমণি তারই পুরস্কার দিলেন।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!