বিধাননগরে মেয়র কৃষ্ণাই আসানসোল ও চন্দননগরের নামও ঘোষণা করল তৃনমূল
নিউজ ডেস্ক জল্পনার অবসান। দল ছেড়ে দিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে এসে টিকিট পাওয়া সব্যসাচীকে বিধাননগরের মেয়র করলেন না দিদি। দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন, কঠিন সময়ে দায়িত্ব সামলানো কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে বিধান নগরের নতুন মেয়র হিসেবে মনোনীত করল তৃণমূল। এদিন জাতীয় কর্মসমিতিতে চন্দননগরের মেয়র করা হয়েছে রাম চক্রবর্তী এবং আসানসোলের মেয়র করা হয়েছে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে।
ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই দিদি জানিয়েছিলেন, শিলিগুড়ির মেয়র হবেন গৌতম দেব। কারণ তিনিই সেখানে মোস্ট সিনিয়র। তবে বাকি তিন মেয়রের নাম চূড়ান্ত হবে দলে।সেই মতো আজকে কর্মসমিতির বৈঠক বসে। এবং বাকি তিন কর্পোরেশনের মেয়রের নামে সিলমোহর দেয় তৃণমূলের জাতীয় কমিটি। জেলার কর্পোরেশনের মেয়র কারা হবেন তাতে স্থানীয়দেরই আগ্রহ থাকে। তবে এবার বিধাননগর নিয়ে সার্বিক ভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে কৌতূহল ছিল। তার মূলে ছিলেন সব্যসাচী দত্তই। অনেকের মতে, সব্যসাচীকে টিকিট দেওয়া নিয়ে যে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য ছিল তা অভিষেকের সাম্প্রতিক
টেলিভিশন সাক্ষাত্কারেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যেখানে অভিষেক বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব্যসাচীকে টিকিট দিয়েছেন। তৃণমূলের তরুণ নেতাটি এও বলেছিলেন, মমতা উদার। তিনি নন, তিনি প্র্যাক্টিক্যাল, বিজ্ঞানসম্মত। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সব্যসাচীকে মেয়রের আসনে বসিয়ে দেওয়া হবে নাকি। ভোটের ফলের দিন সেই জল্পনা আরও উস্কে যায়। দেখা যায় সস্ত্রীক সব্যসাচী প্রথমে পৌঁছে গিয়েছেন দিদির বাড়িতে। তাঁকে প্রণাম করে সটান অভিষেকের বাড়ি। এই ফ্রেম তৈরি হওয়ার খানিক পরেই দিদির বাড়িতে যান কৃষ্ণা। ভোটের ফল ঘোষণার দিনই দিদি বলেছিলেন, কৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আস্থার সম্পর্ক।
মমতা যখন ১৯৮৪ সালে যাদবপুরে প্রথম জিতেছিলেন তখন দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে থাকতেন কৃষ্ণা। দু’জনে একসঙ্গে রান্না করে খেতেন। তৃণমূলের অনেকে এও বলছিলেন, সব্যসাচীকে মেয়র করলে দলের নিচুতলার কর্মীদের আবেগে ধাক্কা লাগতে পারে। কারণ দলের কঠিন সময়ে তিনি বিজেপিতে ছিলেন। আবার সুসময়ে ফিরেছেন। এখন তাকে যদি সরাসরি মেয়র করে দেওয়া হয় তাহলে মনে হতেই পারে কঠিন সময়ে দায়িত্ব সামলানোদের গুরুত্ব নেই। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেসব বুঝেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছেন মমতা।