এক ব্যক্তিকে আটক কোটি কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায়
নিউজ ডেস্ক সম্প্রতি পুলিশ ভিকি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে । ওই ব্যক্তি তার প্রেমিকাকে আইফোন এবং হবু শাশুড়িকে ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন ডাকাতির টাকা দিয়ে। এছাড়াও লক্ষাধিক টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে। সম্প্রতি রাজ্যের হাওড়া বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ ভিকির পাশাপাশি হেমন্ত মিশ্র ও কার্তিক রাম নামে আরও দুজনকে। তবে এখনও পলাতক রয়েছে এই ঘটনায় জড়িত আরও দুইজন। বোম্বে রাজেশ বলে জানায় পুলিশ তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির নাম।
পুলিশ বলেছে, কুখ্যাত অপরাধী ডাকাতির সঙ্গে জড়িতরা সবাই। অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে। তবে কিছুই জানে না পুলিশ গত ছয়মাস তারা কোথায় ছিল এবং কী করেছে এ বিষয়ে। পুলিশের কাছে আসেনি গত ছয় মাস তাদের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের খবরও।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা বেলিলিয়াস রোডে একটি লোহার সামগ্রীর দোকান থেকে ১ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে ডাকাতি করে পালানোর সময় যানজটে আটকে পড়ে তাদের গাড়ি। এ সময় দিনেদুপুরে রাস্তা দিয়ে পিস্তল উঁচিয়ে ডাকাতদের পালানোর ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ভিডিও। তদন্তে নামার পর ওই দোকানের কাজে জড়িত তিন ব্যক্তিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশেই ছিলেন ওই তিন ব্যক্তি। এর পরেই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতি হওয়া দোকানের ব্যবসায়ী সুনীল শর্মার সঙ্গে তাদের পরিচয় মূলত কালো টাকা সাদা করার সূত্রেই। তাদের মধ্যে প্রায় ছয় মাস ধরে যোগাযোগ। বেশির ভাগ সময় হোটেলে বসে বা ফোনে কথা হতো তাদের। ওই ব্যবসায়ীর অফিসেও প্রতিদিন যাতায়াত ছিল ওই তিন ব্যক্তির। ব্যবসায় আয় কর যাতে কম দিতে হয়। মূলত, সেই ব্যবস্থাই করে দিতেন ওই তিনজন। এছাড়া টাকা হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও সুনীলকে সাহায্য করতেন তারা। বিনিময়ে কমিশনও পেতেন। ওই দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের সম্পর্কে জানতে পেরে গ্রেফতার করা হয়।
পলাতক দুই ডাকাতের খোঁজে এখনও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বিশেষ করে পুলিশের নজরে রয়েছে বোম্বে রাজেশ। কারণ, ডাকাতি নিয়ে মূলত তার সঙ্গেই দালালদের চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তিমতে রাজেশ বাকিদের একত্র করে ডাকাতি করে। তদন্তের স্বার্থেই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। তার খোঁজ পেতে ভিকি, কার্তিক আর হেমন্তের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে জানায় পুলিশ।